বাংলাদেশ সীমান্তে ২৯৩ কিলোমিটার বেড়া দিচ্ছে মিয়ানমার
বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমান্তে বেড়া নির্মাণের জন্য ১৫ মিলিয়ন ডলারের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সংসদ। দেশটির সংসদ সদস্য মিও জ অংয়ের বরাত দিয়ে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এই খবর জানিয়েছে।
মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সীমান্তবিষয়ক মন্ত্রণালয় সীমান্তে বেড়া দেওয়ার বাজেটটি পেশ করে। দেশটিতে এসব মন্ত্রণালয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে।
ডেপুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল অং সু জানিয়েছেন, সীমান্তে ২৯৩ কিলোমিটার বেড়া নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে ২০২ কিলোমিটার বেড়া নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত অক্টোবরে মিয়ানমারে বৌদ্ধরা সেনাবাহিনীকে নিজেদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গত বছরের ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
গত বছরের ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ‘বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের’ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এই হামলার দায় স্বীকার করে। এ ঘটনার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ছয় লক্ষাধিক লাখ রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার এ ঘটনাকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যদিও মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং দেশটির নেত্রী নোবেলজয়ী অং সান সু চির পক্ষ থেকে তা বরাবরই অস্বীকার করা হয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালের জুনেও রাখাইন রাজ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছিল। তখন প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হন। ওই সময় দাঙ্গার কবলে পড়ে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।