ইয়েমেনে সৌদি জোটের হামলা, হুতিদের প্রতিরোধ
ইয়েমেনের বন্দরনগরী হোদেইদাহে প্রচণ্ড লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। এলাকাটি হুতি বিদ্রোহীদের দখলে। সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষ থেকে চালানো বিমান হামলার পর থেকে ওই লড়াই শুরু হয়।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল বুধবার ইয়েমেনের অন্যতম প্রধান এই বন্দরনগরীতে হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ করে বিভিন্ন সময়ে ১৮বার বিমান হামলা চালায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। শহরের নিকটবর্তী বিমানবন্দর এলাকায় মূলত এই হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়।
এই হামলায় সংযুক্ত আরব আমিরাত নিজেদের চার সেনা নিহত কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া হামলায় ২২ হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এই প্রথম ইয়েমেনের কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত কোনো শহর দখলে নেওয়ার চেষ্টা করল সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘সম্ভবত ইয়েমেনের চলমান এই গৃহযুদ্ধে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। এতে নগরীর চার লাখ মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।’
জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালকি জানান, সাধারণ মানুষের যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে জন্য তাঁরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে স্থলযুদ্ধ এড়াতে চাইছেন।
এই হামলায় বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর এবং রাজধানী সানায় যাওয়ার প্রধান সড়কটি দখল করাই তাঁদের মূল লক্ষ্য বলে আল-হাদাথ টেলিভিশনকে জানান তুর্কি আল-মালকি।
চলমান গৃহযুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে আছে। বিদ্রোহীদের দখলে থাকা উপকূলবর্তী নগর হোদেইদাহেই সবচেয়ে বেশি ত্রাণ পৌঁছায়। নানা কারণেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর।
এদিকে গতকালকের হামলা বিষয়ে হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিসাইল দিয়ে তারা জোট বাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত করেছে। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে হুতি বিদ্রোহীরা হোদেইদাহ ছেড়ে না যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের পর জোটের পক্ষ থেকে এই হামলা চালানো হয়।