আল-আকসায় অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হানা

অধিকৃত জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে জোরপূর্বক ঢুকে পড়েছে পাঁচ শতাধিক অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইহুদি। রোববার (৬ এপ্রিল) ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ করেছে।
তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদুলুর খবর বলছে, ইসরায়েলি পুলিশের নিরাপত্তায় মসজিদ চত্বরে ঢুকে পড়ে তারা। ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ উৎসব ‘পাসওভারের’ সময় এই ধরনের হামলা বা ‘অবৈধ অনুপ্রবেশের’ ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে, ইসরায়েলি পুলিশ আল-আকসায় ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের প্রবেশে নানা রকম কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চলেছে। এতে ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম এই স্থানটিতে মুসল্লিদের স্বাভাবিক ইবাদতের পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। আল-আকসা মসজিদ বহুদিন ধরেই ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে। ইসরায়েলি বসতকারীদের এই ধরনের আগ্রাসী আচরণ আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফিলিস্তিনি ধর্ম ও আওকাফ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে মসজিদটিতে ২১ বারেরও বেশি হানা দিয়েছে অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা।
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন যখন মুসল্লিরা নামাজের জন্য জমায়েত হন, তখন ইসরায়েলি উগ্র-ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী মসজিদটিতে অনুপ্রবেশ করে। এরআগেও সে কয়েকবার একই কাণ্ড করেছে। তার এই উসকানিমূলক পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান।
এছাড়া ইসরায়েলি অবরোধে গাজা উপত্যকার পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। তারা জানিয়েছে, গেল একমাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো বাণিজ্যিক সরবরাহ কিংবা সহায়তা ঢুকতে পারছে না।
গাজায় মানবিক সহায়তার ওপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।