আনুষ্ঠানিক ফলাফলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা সু চির
মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফলেও জয়ী হয়েছে দেশটি গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনডিএল)। আজ দেশটির নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যায়, গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মোট আসনের ৮০ শতাংশই এনডিএল পেয়েছে।
এর আগে নির্বাচনের পরদিনই জানা যায়, সু চির এনডিএলই নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে। তবে ওই ফলাফল ছিল অনানুষ্ঠানিক। মিয়ানমারের জান্তা সমর্থিত সরকার আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণায় পাঁচদিন সময় নেয়।
অনেক বিতর্ক থাকলেও গত ২৫ বছরে মিয়ানমারের এটিই প্রথম স্বাধীন নির্বাচন। আর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনটি মিয়ানমারের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচ বছর আগে এই দিনেই নিজ বাড়িতে আটক অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন সু চি।
এনডিএল জয়ী হলেও মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী সু চি প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না। তবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়। এনডিএল এর বেশি পেয়েছে। তাই বলা যায়, শিগগিরই দেশটিতে সামরিক বাহিনী এবং এটি সমর্থিত সরকারের শাসনের অবসান ঘটছে।
মিয়ানমারের মোট আসনের চার ভাগের এক ভাগে কোনো নির্বাচন হয়নি। সামরিক বাহিনীর হাতেই এসব আসন রয়েছে। তাই বলা যায়, সু চি ও তাঁর দল ক্ষমতায় এলেও দেশটির সামরিক বাহিনী প্রভাবশালীই থাকছে।
আজ শুক্রবার দিনের শুরুতে এনডিএল জানায়, দেশটির পার্লামেন্টের দুটি হাউসেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দলটির আর দুই ভোট প্রয়োজন। আর সকালের বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেন সেইন বলেন, জনগণের মতকে তিনি সম্মান করবেন।
আজ দুপুরে মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন জানায়, দেশটির পার্লামেন্টে দুটি হাউসে ৬৬৪টি আসনের মধ্যে এনডিএল পেয়েছে ৩৪৮টি।
বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারে নতুন করে পার্লামেন্ট বসবে জানুয়ারিতে। ওই সময়ই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।