ইউরোপীয় পণ্যে বড় অঙ্কের শুল্কারোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৭৫০ কোটি ডলারের শুল্কারোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের ফলে অবৈধ ভর্তুকি সুবিধা পাওয়া নিয়ে উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী বোয়িং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর মধ্যকার বাণিজ্যিক বিরোধের সর্বশেষ অবস্থা প্রকাশ পেল।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) একটি মামলা দায়ের করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউরোপের দেশগুলোর কাছ থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পেয়েছে এয়ারবাস, যা অবৈধ রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিচার প্রক্রিয়া শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে রায় দেয় ডব্লিউটিও। যার পরিপ্রেক্ষিতে রায়-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় পণ্যের ওপর প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি ডলার মূল্যমানের শুল্কারোপ করার প্রক্রিয়া শুরু করে।
যদিও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা গতকাল বুধবার এক রুলিংয়ে ওই শুল্ক কমিয়ে ৭৫০ কোটি ডলারে নিয়ে আসে। ডব্লিউটিওর ইতিহাসে শুল্কারোপ বিষয়ে এটাই সবচেয়ে বড় শাস্তির ঘটনা বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ডব্লিউটিওর রুলিংয়ের ফলে আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে ইউরোপের উড়োজাহাজ থেকে শুরু করে পনির, জলপাই ও জাম্পারের ওপর নতুন করে শুল্কারোপ শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে পাল্টা জবাব হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার কোটি মূল্যমানের পণ্যে শুল্কারোপের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে ইউরোপীয় কমিশন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ইইউ কত হারে শুল্কারোপ করতে পারবে, তা নির্ভর করবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অনুমোদনের ওপর। উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোয়িংকে অর্থ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন—ইইউর এমন অভিযোগের বিষয়ে ডব্লিউটিও কী রুলিং দেয়, তা জানতে আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।