যুক্তরাষ্ট্রে ঝড়ে নিহত ১৬, বন্যার আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে গত কয়েকদিনের মারাত্মক ঝড়ে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, এই অঞ্চলে আরও কয়েকদিন ধরে তীব্র বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আজ রোববার (৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরকানসাস থেকে ওহাইও পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে শক্তিশালী ঝড় বয়ে গেছে। এতে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টেনেসি। রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন অঞ্চলটিতে অন্তত ১০ জন মারা গেছেন।
এছাড়া কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানিয়েছেন, সেখানে একটি শিশুসহ দুইজন মারা গেছেন। শিশুটি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ঝড়ের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ছবি ও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে, গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন উপড়ে পড়েছে এবং গাড়ি উল্টে আছে।
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (এনডব্লিউএস) জানিয়েছে, রোববার মধ্য-পূর্ব অঞ্চলের কিছু অংশে মারাত্মক ও ব্যাপক আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা থাকায় জীবন ও সম্পত্তির চরম ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে মিসৌরিতে দু’জন ও ইন্ডিয়ানাতে একজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘চলমান তীব্র আবহাওয়ায় আরকানসাসের লিটল রকের একটি বাড়িতে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’
কেন্টাকির গভর্নর বেশিয়ার শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের বাসিন্দাদের ‘ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে ও পানির ভেতর দিয়ে গাড়ি না চালানোর’ আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, রোববার ভোর পর্যন্ত আরকানসাস ও টেনেসিতে লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল।

জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা (এনডব্লিউএস) জানায়, রোববার টেনেসি উপত্যকা ও লোয়ার মিসিসিপি উপত্যকার কিছু অংশে ‘মারাত্মক বজ্র ঝড়সহ’ মাঝারি থেকে তীব্র টর্নেডো তৈরি হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় আবহাওয়ার ধরন এবং জলচক্র পরিবর্তিত হচ্ছে, যার কারণে এমন চরম দুর্যোগ আগের চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।
গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। ওই বছর দেশটিতে অসংখ্য টর্নেডো ও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল।