নাসায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বাংলাদেশিরা

মহাকাশ যেমন বিশাল, ঠিক তেমনি এ নিয়ে মানুষের আগ্রহ অসীম। রাতের আকাশে হাজারো তারা দেখে সেই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ নানা হিসাব মেলানোর চেষ্টা করেছে। এতে প্রথম সফলতা আসে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) মানুষের চাঁদে অবতরণের মধ্য দিয়ে।
আর এই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশিরা। তাঁদেরই একজন নাসা থেকে সদ্য অবসরে যাওয়া হাসান রহমান, যিনি আন্তর্জাতিক এই মহাকাশ সংস্থার তথ্যকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি এখন চাকরি করছেন সংস্থাটির মিশন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ‘হিউস্টনে’।
এই হিউস্টনেই সংস্থাটির তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কাজ করছেন নাজ হোসেন। তিনি জানালেন, নাসা যখন মহাশূন্যে কোনো যান পাঠায় তখন তা নিয়ন্ত্রিত হয় হিউস্টন কার্যালয় থেকেই। ‘জনসন স্পেস সেন্টার’ নামে পরিচিত নাসার এ কার্যালয়ে প্রায় ১২ জন বাংলাদেশি কাজ করছেন।
এনটিভির সঙ্গে আলাপচারিতায় নাজ হোসেন বলেন, ‘আমি যখন বাইরে কোথাও যাই, তখন জিজ্ঞেস করে কোথায় কাজ করছেন? আমি যখন বলি নাসাতে। সবাই খুব প্রশংসা করে। আমি এটা বলতে গর্ববোধ করি। এবং আমি খুবই সন্তুষ্ট যে এখানে কাজ করছি। যাদের সঙ্গে এখানে কাজ করছি তাঁরা সবাই খুবই সহায়তা করে।’
মার্কিন এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি এখন ২০২৫ সালে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এতে তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত আছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি। এখানে প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন আফজাল আহমেদ। তিনি জানালেন, ‘নাসার গবেষণার অনেক অবদান আছে, যেগুলো আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি। যেগুলো অনেকে জানে অনেকে জানে না। আমাদের প্রতিদিনকার জীবনেও নাসার গবেষণার অবদান অনেক।’
কথা হচ্ছিল আন্তর্জাতিক এই মহাকাশ সংস্থার তথ্যকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সদ্য অবসরে যাওয়া বাংলাদেশি হাসান রহমানের সঙ্গে। যাঁর হাত ধরে অনেক বাংলাদেশির যোগাযোগ ঘটে আন্তর্জাতিক এই মহাকাশ সংস্থাটির সঙ্গে। হাসান রহমান জানালেন, তিন দশক আগে তিনি যোগ দিয়েছিলেন নাসায়।
হাসান রহমান আরো জানান, পৃথিবীর একমাত্র মাল্টি বিলিয়ন ডলারের গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য বিভাগের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশিরা। তিনি গর্বভরে জানান, এই তথ্য বিভাগটি মূলত তাঁর ডিজাইনে বাঙালির হাতে তৈরি করা।
তরুণ প্রজন্ম যারা মহাকাশ গবেষণা বা নাসায় কাজ করতে আগ্রহী তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লেখাপড়া আর সংস্থাটিতে কর্মরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন হাসান রহমান।