মণিপুরের স্বাধীনতার দাবিতে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী সরকার গঠন
ভারতের মণিপুর রাজ্যের কিছু রাজনীতিবিদ ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী সরকার গঠন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার লন্ডনে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর দিয়েছে।
ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারত স্বাধীনতা লাভের দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে ভারতের অংশ হয় তৎকালীন স্বাধীন রাজ্য মণিপুর। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় সেখানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের দাবি ওঠে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য নিয়ে কথিত সেভেন সিস্টারের সদস্য রাজ্যটিতে ২৮ লাখ মানুষের বসবাস। সাংস্কৃতিক সাদৃশ্যের কারণে এশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেশ মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও চীনের প্রতি ঝোঁক বেশি এখানকার মানুষজনের।
সংবাদ সম্মেলনে স্বঘোষিত মণিপুর স্টেট কাউন্সিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নরেংবাম সমরজিত জানান, তাঁরা জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কাজ শুরু করবেন।
সমরজিত বলেন, ‘আমরা আজ থেকে এখানে প্রবাসী সরকারের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। জাতিসংঘের সদস্য পদ পেতে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করব আমরা। আশা করি, অনেক দেশ আমাদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নরেংবাম সমরজিতের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। নরেংবাম বলেন, ‘আমরা সেখানে (মণিপুরে) স্বাধীন নই। আমাদের ইতিহাস ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তির পথে। এ অবস্থায় জাতিসংঘের উচিত আমাদের কথা শোনা। গোটা বিশ্বকে আজ জানাতে চাই, আমরা মণিপুরে বসবাসকারীরাও মানুষ।’
এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
মণিপুরের জীবনযাত্রায় মৈতেই, নাগা, কুকি ও পঙ্গল জাতিগোষ্ঠীর অসাধারণ মিলন দেখা যায়। এদের প্রত্যেকেই নিজেদের সংস্কৃতি ধরে রেখে জীবনযাপন করতে চায়।