সাংবাদিকসহ পাঁচ মার্কিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক সাংবাদিকসহ পাঁচ মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান। গতকাল শনিবার মুক্তি দেওয়া হলেও আজ রোববার তাঁদের দেশে ফেরার কথা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, শনিবার ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। আবার ওই দিনই ইরান মুক্তি দিয়েছে মার্কিন সাংবাদিক জেসন রেজায়ানসহ পাঁচ মার্কিনিকে। অবশ্য জেসন রেজায়ান একই সঙ্গে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই মার্কিনিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়। আজ রোববার সকালে ওই মার্কিনিদের বিমানে তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও সকাল পর্যন্ত তাঁদের বহনকারী বিমানটি ইরান ছাড়েনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই মার্কিনিরা দেশের পথে আছেন।
পরমাণু কর্মসূচির ওপর নজরদারি করা জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল ইরানের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শনের পর পরই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কর্মকর্তারা ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। আর ইরানও মেনে নিয়েছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণই হবে এবং তারা কখনোই আণবিক বোমা তৈরি করবে না।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সমঝোতাকে ওবামা প্রশাসনের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছেন অনেকে। এই সমঝোতার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়ানো গেছে। একই সঙ্গে অর্থনীতিকে আবার গতিশীল করার সুযোগ পেয়েছে ইরান। আবার দীর্ঘদিন ধরে থাকা সীমাবদ্ধ কূটনীতিও এখন নতুন করে গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে শত শত কোটি মার্কিন ডলারের জব্দ করা ইরানের সম্পদ ছেড়ে দেওয়া হবে এবং দেশটি বিশ্ববাজারে তেল বিক্রি করতে পারবে।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন জন কেরি। এখানে তিনি বলেন, ‘ইরান যে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে মানুষের মন থেকে এখন সন্দেহ দূর হয়ে যাবে।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি টুইটারে বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি এবং ধৈর্য ধরার জন্য জাতির মহানুভবতার কাছে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’