ইসরায়েলে পার্লামেন্ট নির্বাচনে নেতানিয়াহু জয়ী
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জয়লাভ করেছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইতজহাক হারজগ পরাজয় মেনে নিয়ে নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি আজ বুধবার জানিয়েছে, নির্বাচনে ১২০টি আসনের মধ্যে নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টি পেয়েছে ৩০টি আসন। আর মধ্য-বামপন্থী জোট জিওনিস্ট ইউনিয়ন আসন পেয়েছে ২৪টি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইসরায়েলের আরব নেতৃত্বাধীন দলগুলো জোট ‘জয়েন্ট আরব লিস্ট’। এই জোট পেয়েছে ১৪টি আসন।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ১০টায়।
ডানপন্থী দলগুলোর সঙ্গে জোট সরকার গঠন করার সম্ভাবনা রয়েছে নেতানিয়াহুর। এর মাধ্যমে তিনি চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় বসবেন এবং ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি হবেন।
লিকুদ পার্টির এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছেন নেতানিয়াহু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ৭০ শতাংশ ভোট গণনার পরই নেতানিয়াহু নিজেকে বিজয়ী দাবি করেন। তেল আবিবে নির্বাচনী প্রচারণার সদর দপ্তরে সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে লিকুদ পার্টির একটি বড় জয় এসেছে। এখন একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল সরকার গঠন করা হবে।
ভোট গণনা সমাপ্তির আগেই জিওনিস্ট ইউনিয়নের নেতা ইতজহাক হারজগ নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘কোনো কিছুই পরিবর্তন হবে না, আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজের জন্য লড়াই করব।’
হারজগ ও জিওনিস্ট ইউনিয়নের আরেক নেতা জিপি লিভনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি আমাদের এবং আমাদের পথে বিশ্বাসীদের জন্য সহজ সকাল নয়।’
নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই নেতানিয়াহু অঙ্গীকার করেছেন, চতুর্থবারের মতো জয়ী হলে তিনি কখনোই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে অনুমতি দেবেন না। অন্যদিকে জিওনিস্ট ইউনিয়ন দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন জানায়। তারা ফিলিস্তিন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের অঙ্গীকার করেছিল।
এদিকে ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছে, জাতিসত্তার জন্য তারা কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাবে। দুই দেশের মধ্যে প্রধান মধ্যস্থতাকারী সায়েব এরাকাত বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এটি পরিষ্কার যে ইসরায়েলে নেতানিয়াহুই পরবর্তী সরকার গঠন করবেন। ফিলিস্তিনও হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে যাবে।