‘শুধু মানবতা নয়, ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কিত’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের কড়া সমালোচনা করেছেন। গতকাল শনিবার (২৭ জুলাই) তিনি বলেছেন, ৪০ হাজার নিরপরাধ মানুষের হত্যাকারীকে সাধুবাদ জানাতে দেখলে কেবল মানবতার জন্যই নয়, নিজেদের ভবিষ্যতের জন্যও চিন্তিত হই। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রিজ প্রদেশে এক অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এসব কথা বলেন।
আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, এরদোয়ান বলেছেন, নেতানিয়াহুর মতো একজনের জন্য লাল গালিচা বিছিয়ে দেওয়া, পাশাপাশি তার মিথ্যার প্রশংসা করা আমেরিকার জন্য একটি মানসিক দাসত্ব।
গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ হাজার ২৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৯০ হাজারের বেশি। এমন এক পরিস্থিতিতে গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। তার জবাবে এরদোয়ান বলেছেন, আমরা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে সেই অপমানজনক দৃশ্যগুলো একসঙ্গে দেখেছি। আমরা সেখানে যা দেখেছি তাতে মানবতার পক্ষে আমরা লজ্জিত হয়েছি।
এ ছাড়া এরদোয়ান বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে তুরস্ক নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানবতার বিবেক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা কোনো ধরনের দ্বিধা ছাড়াই গাজা ও ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই ও বোনদের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। মানবিক সহায়তার পরিপ্রেক্ষিতে, আমরাই সেই দেশ যারা গাজায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সাহায্য পাঠিয়েছি।
এরদোগান আরও বলেছেন, আজ যারা গাজাকে মাটিতে ধ্বংস করেছে তারা আগামীকাল আনাতোলিয়ার দিকে তাদের নোংরা দৃষ্টি রাখবে না, এর নিশ্চয়তা কে দিতে পারে?
ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে তুরস্কে আমন্ত্রণ জানানো দরকার ছিল বলে দেশটির বিরোধীদলের মন্তব্য প্রসঙ্গে এরদোগান বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল বলছে—সরকারের উচিত ছিল ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে তুরস্কে আমন্ত্রণ জানানো এবং তাকে সংসদে বক্তৃতা করানো। কে বলে আমরা তাকে আমন্ত্রণ করিনি?
এরদোগান যোগ করেন, (ফিলিস্তিনি) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও তিনি আসেননি। এজন্য তাকে প্রথমে ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি আসেননি। আমরা অপেক্ষা করছি তিনি আসবেন কি না।