এবার বিচার বিভাগও বন্ধ করেছে হিলারির ‘ই-মেইলে’র তদন্ত
কোনো অভিযোগ ছাড়াই সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের তদন্ত বন্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের এই মনোনয়নপ্রত্যাশীর নির্বাচনী প্রচারণার পথে বাধা হয়েছিল এই তদন্ত।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, হিলারির বিতর্কিত ই-মেইল সার্ভারবিষয়ক তদন্ত কোনো ফৌজদারি অভিযোগ ছাড়াই বন্ধের ঘোষণা দেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল লরেটা লিঞ্চ। দীর্ঘ এক বছর ধরে বিষয়টি তদন্তাধীন ছিল।
বিচার বিভাগ থেকে হিলারির ই-মেইল তদন্তের দায়িত্ব পায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। সম্প্রতি এফবিআই কোনো অভিযোগ ছাড়াই হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইলবিষয়ক তদন্তের ইতি টানার ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণার মাত্র একদিন পরই অ্যাটর্নি জেনারেল তদন্ত বন্ধের ঘোষণা দিলেন।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল লরেটা লিঞ্চ বলেন, হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল বিষয়ে তিনি এফবিআইর পরিচালক জেমস কমের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। হিলারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি এফবিআইর প্রতিবেদন এবং সুপারিশের কথা বিবেচনা করেন।
এর আগে গত সপ্তাহে লরেটা লিঞ্চ জানিয়েছিলেন, এফবিআইর যেকোনো তদন্ত প্রতিবেদন এবং সুপারিশ মেনে নেবেন তিনি। হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল বিষয়ে এফবিআইর সিদ্ধান্তের পর অ্যাটর্নি জেনারেলের সিদ্ধান্ত ছিল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানায়, হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভারে থাকা ৩০ হাজার ই-মেইল পরীক্ষা করেছে এফবিআই। দীর্ঘ চার বছর এসব ই-মেইল ওই সার্ভারে জমা হয়েছে। এসব ই-মেইলের অন্তত ১১০টিতে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ছিল।
হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার বিষয়ে এফবিআইর বিশ্লেষণ হলো, এই ই-মেইল অ্যাকাউন্টে অন্য কারো ঢোকা সম্ভব ছিল। পাঠানো বা গ্রহণ করা ১০০টির বেশি ই-মেইলে গোপন বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। তবে সজ্ঞানে গোপন তথ্য অন্যকে জানিয়েছেন, এমন কোনো প্রমাণ হিলারির বিরুদ্ধে নেই। আর গোপন করার জন্য কোনো ই-মেইল মুছে ফেলেননি হিলারি।