সৌদি যুবরাজ মুকরিন বরখাস্ত, নতুন যুবরাজ নায়েফ
সৌদি আরবের যুবরাজ মুকরিন বিন আবদুল আজিজ বিন সৌদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বাদশাহ সালমানের উত্তরাধিকারী ছিলেন। মুকরিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন দেশটির বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন নায়েফ। তিনি বাদশাহ সালমানের ভাইয়ের ছেলে।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদ বিন ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদকে অপসারণ করে তাঁর জায়গায় আবদেল বিন আহমেদ আজ-জুবাইয়রকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ-জুবাইয়র এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।
বার্তাসংস্থা এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে, আজ বুধবার সৌদি আরবের বাদশা সালমান এসব পদক্ষেপ নিয়েছেন। সৌদি রাজসভার বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, মুকরিনকে উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন যুবরাজ নায়েফকে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক ফরমানে এসব পদক্ষেপ নিয়েছেন। একই ফরমানে অপসারণ করা হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা সৌদ বিন ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদকে। সৌদ বিন ফয়সাল চারদশক ধরে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগতার কথা জানিয়েছেন বলে ফরমানে দাবি করা হয়েছে।
মুকরিন হলেন সৌদি রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ বিন সৌদের শেষ ছেলে। তাঁকে অপসারণের মধ্য দিয়ে সৌদি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন সৌদি রাজবংশের দ্বিতীয় প্রজন্ম বা আবদুল আজিজের নাতিরা। এই প্রথম আবদুল আজিজের কোনো নাতিকে যুবরাজ করা হলো।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, এ নিয়োগের মধ্য দিয়ে দেশটির ক্ষমতার ওপর সৌদি রাজপরিবারের সৌদাইরি শাখার নিয়ন্ত্রণ জোরদার হলো। সাবেক রাজা আবদুল্লাহর সময়ে এ শাখার প্রভাব তলানিতে এসে ঠেকেছিল।
এদিকে, ফরমানে নিজ ছেলে প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানকে উপযুবরাজ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন সৌদিরাজা। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন এবং ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলা তাঁরই নেতৃত্বে অব্যাহত রয়েছে।
মুকরিনের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে দেশটির প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ আমলের সবশেষ উচ্চপদস্থকর্মকর্তাকেও সরিয়ে দেওয়া হলো। গত ২৩ জানুয়ারি মারা যান আবদুল্লাহ। এরপর সৌদি আরবের মসনদে বসেন সালমান। ক্ষমতায় বসেই প্রয়াত বাদশাহর আমলের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেন তিনি।