এবার রূপা হকও ছায়া প্রতিমন্ত্রী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/10/14/photo-1476466244.jpg)
টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকের পর এবার যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক ছায়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সংসদ সদস্য রূপা হক।
গতকাল বৃহস্পতিবার লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তাঁকে এই পদে নিয়োগ দেন। রূপা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী ডায়ান অ্যাবোটের নেতৃত্বে কাজ করবেন।
এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আরেক সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাতনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক শিক্ষাবিষয়ক ছায়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।
টিউলিপ গত বছরের ৭ মে নির্বাচনে লন্ডনের হ্যামস্টেড ও কিলবার্ন এলাকা থেকে ২৩ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির সাইমন মারকিউস পায় ২২ হাজার ৮৩৯ ভোট।
টিউলিপ প্রথম বাঙালি নারী, যিনি মে ২০১০ সালে ক্যামডিন কাউন্সিলে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান সংসদে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন সংসদ সদস্যের আরেকজন রুশনারা আলী। রুশনারা ব্রিটিশ সরকারের বাংলাদেশবিষয়ক বিশেষ বাণিজ্য দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এঁরা তিনজনই লেবার পার্টির সংসদ সদস্য।
রূপা হক ২০১৫ সালে লন্ডনের ‘ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন’ আসন থেকে ২২ হাজার ২০০ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলীয় সংসদ সদস্যদের বিদ্রোহের কারণে সম্প্রতি নতুন করে নেতৃত্বে টিকে থাকার লড়াইয়ে নামতে হয় লেবার নেতা জেরেমি করবিনকে। তৃণমূলের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে পুনরায় নেতৃত্বে ফেরা করবিন নতুন করে তাঁর ছায়া মন্ত্রিপরিষদ গঠন করছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রূপা হকসহ সাতজনকে ছায়া মন্ত্রিসভার দায়িত্ব দেন করবিন।
ছায়া মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রূপা হক তাঁর ফেসবুক পেজে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রবিষয়ক ছায়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে লেবার পার্টির অগ্রগামী দলে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। ক্ষমতাসীন টোরি সরকারকে চাপে রাখার জন্য আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।’
রূপা হকের আদি বাড়ি পাবনা শহরের মকছেদপুরে।
যুক্তরাজ্যে সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি অনুযায়ী সরকারকে জবাবদিহি করার জন্য সরকারের বিপরীতে বিরোধী দলও একটি মন্ত্রিসভা গঠন করে। এটিকে বলা হয় ছায়া মন্ত্রিসভা (শ্যাডো কেবিনেট)। ছায়া মন্ত্রিসভায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাজ হলো সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও ভুলত্রুটি তুলে ধরে চ্যালেঞ্জ করা। সেই সঙ্গে নিজ দলের পক্ষে বিকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা। দল ক্ষমতায় গেলে ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারীরাই মন্ত্রিত্বের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচিত হন। যে কারণে ছায়া মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি ব্রিটিশ রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাজ্য সরকারের দপ্তরগুলোতে একজন মন্ত্রীর অধীনে সাধারণত চারজন করে প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন। একইভাবে ছায়া মন্ত্রিসভায়ও একজন ছায়ামন্ত্রীর অধীনে চারজন করে ছায়া প্রতিমন্ত্রী রাখা হয়।