মিয়ানমারে প্রথম জিকা রোগী পাওয়া গেছে
মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো এক গর্ভবতী বিদেশি নারীর শরীরে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের এক খবরে শুক্রবার বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ডাক্তারি পরীক্ষার পর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে যে ৩২ বছর বয়সী ওই বিদেশি নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি দেশের বৃহত্তম নগরী ইয়াঙ্গুনে ছিলেন।
বাসস জানিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে এই প্রথমবারের মতো মিয়ানমারে জিকা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল। তবে ওই নারী পর্যটক কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
জিকা রোগের উপসর্গ হলো প্রচণ্ড জ্বর, চোখ লাল হওয়া ও ফুসকুড়ি ওঠা। গর্ভবতী নারীরা জিকায় আক্রান্ত হলে শিশুর মাথা ছোট ও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মশা এ রোগের জীবাণু বহন করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও এক প্রতিবেদনে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জিকার সম্ভাব্য বিস্তারের ব্যাপারে সতর্কবাণী করেছে।
এতে বলা হয়েছে, চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জগুলোতে এ রোগ ব্যাপকভাবে বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে।