ছেলেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা নিজের ছেলেকে তাঁর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তবে, বাজে আচরণের জন্য ছেলেকে চাকরিচ্যুত করেছেন ফুমিও কিশিদা। আজ সোমবার (২৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি জানায়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আজ বলেছেন, সরকারি বাসভবনে অনুপযুক্ত আচরণের জন্য তিনি তাঁর ছেলেকে তার সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেবেন। জাপানি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সাহতারো কিশিদাকে নিয়ে একটি ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন প্রকাশের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে ম্যাগাজিনটি সাহতারোকে নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, গত বছর সরকারি বাসভবনে একটি পার্টির আয়োজন করে সাহতারো। পার্টিতে বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত দেন তিনি। ওই প্রতিবেদনে দুটি ছবিও প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, পার্টিতে আসা কয়েকজন সংবাদ সম্মেলন করার অভিনয় করছেন। আরেকজন রেড কার্পেটে শুয়ে রয়েছেন।
আজ সোমবার (২৯ মে) সংবাদ সম্মেলনে ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘গত বছর জনসমাগম এলাকায় তার আচরণ একজন রাজনৈতিক সচিবের জন্য অনুপযুক্ত ছিল। আমরা তাকে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ১ জুন সাহতারো পদত্যাগ করবেন।’
এনডিটিভি বলছে, ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পর থেকেই ফুমিও কিশিদার ছেলেকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে ছেলেকে তিরস্কার পর্যন্ত করেছিলেন তিনি। তবে, তার রাজনৈতিক বিরোধীরা সাহতারোর অপসারণের দাবি করছিল।
২০২১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন জাপানের শততম প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ওই সময় বেশ জনপ্রিয়তা ছিল তার। তবে, সেই জনপ্রিয়তায় বর্তমানে ভাটা পড়েছে। চলতি মাসে জাপানের ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রিয়তা কমে ৪৬ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। আর এই খবরটি প্রকাশের এক সপ্তাহ পরেই সাহতারোকে নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ওই ম্যাগাজিন।
গত তিন মাসে দুর্নীতির অভিযোগে চারজন বিশ্বস্ত মন্ত্রীকে হারিয়েছেন ফুমিও কিশিদা।