ইউক্রেনকে সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ফ্রান্স-জার্মানি ও পোল্যান্ডের
ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবং পোল্যান্ডের নেতা আন্দ্রেজ দুদা। প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে ওয়েইমার ত্রিভুজ সম্মেলনে সোমবার (১২ জুন) যোগ দেন পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ করে রাশিয়ার কাছ থেকে সাতটি গ্রাম ছিনিয়ে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিন দেশের নেতা আলোচনা করলেন, কীভাবে ইউক্রেনকে আরও সাহায্য করা যাবে এবং কীভাবে ইউক্রেন রাশিয়ার কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করবে?
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সাহায্য করব। আমরা ইউক্রনকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক গাড়ি দিয়ে সাহায্য করছি। আগামী দিন ও সপ্তাহেও সেই সাহায্য করে যাব।’
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ইউক্রেনের এই পাল্টা আঘাত হানা আগামী বেশ কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস চালু থাকবে। আমরা ইউক্রেনের পাশে থাকব। তারা যাতে আরও এলাকা নিজেদের অধীনে নিয়ে আসতে পারে, তা দেখব। তাহলেই ভালো অবস্থায় থেকে আলোচনা শুরু করতে পারব।’
পোল্যান্ডের প্রেইডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা সোমবার (১২ জুন) প্যারিসে পৌঁছান। তারপর পৌঁছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। আন্দ্রেজ দুদা বলেন, ‘ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার প্রস্তাব এবার অনুমোদন করা উচিত।’
ইউক্রেনও অনুরোধ করেছে, ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যেন তাদের আবেদন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ন্যাটো-ইউক্রেন কমিশনের জায়গায় নতুন করে ন্যাটো-ইউক্রেন কাউন্সিল গঠন করার কথা বলেছে দেশটি, যারা মূলত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে।
জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস বলেন, ‘এখন প্রয়োজন হলো—ইউক্রেনকে সাহায্য করে যাওয়া। যতদিন দরকার আমরা সেটাই করে যাব।’
একজোট ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ড
১৯৯১ সালে জার্মানির ওয়েইমারে পোল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানি একসঙ্গে বৈঠক করে। এর নাম হয় ওয়েইমার ত্রিভুজ। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল পোল্যান্ডসহ সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোকে ন্যাটোর কাছে নিয়ে আসা।
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর পুরো প্রেক্ষাপট বদলে যায়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিন দেশের নেতারা একজোট হয়েছিলেন। আবার ২০২৩ এর ফেব্রুয়ারিতে মিউনিখে তারা বৈঠক করেন।
রাশিয়ার বিষয়ে পোল্যান্ড কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে। অতীতে বেশ কয়েকবার রাশিয়ার প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর জন্য জার্মানি ও ফ্রান্সের কড়া সমালোচনা করেছেন দুদা।