বছর না যেতেই ইরানের মাজারে আবারও প্রাণঘাতি হামলা
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিরাজ শহরের একটি পবিত্র মাজারে বন্দুকধারীর প্রাণঘাতি হামলার ঘটনা ঘটেছে। বছর না যেতেই এটি ওই মাজারে দ্বিতীয়বারের মতো হামলার ঘটনা যেখানে বন্দুকধারী মাজার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং এলোপাথারি গুলিবর্ষণ করে।
ইরানের বিপ্লবী ইসলামি গার্ডের (আিইআরজিসি) প্রাদেশিক কমান্ডার ইয়াদোল্লাহ বুয়ালি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, দেশটির শাহ চেরাগ মাজারের দক্ষিণ গেটে রোববার সন্ধ্যা সাতটায় একজন বন্দুকধারী সন্ত্রাসী তৎপরতা চালায়। খবর আলজাজিরার।
বুয়ালি জানান, হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তবে তার আগেই সে চারজনকে গুলি করে যার মধ্যে একজন মারা যায়। তিনি আরও জানান, ওই বন্দুকধারীর কাছ থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, আটটি ম্যাজিন ও ২৪০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, লোকজন মাজারের বাইরে আতঙ্কে দৌড়ে পালাচ্ছে আর দোকানপাট বন্ধ করে দিচ্ছে। ছবিতে বুলেটের আঘাতে দেয়ালে তৈরি হওয়া গর্ত, ভাঙা জানালা ও মেঝেতে পড়ে থাকা রক্তের দাগ দেখা যায়।
এর আগে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ফার্স প্রদেশের এই মাজারে একই ধরনের একটি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। মাজারটি শিয়া মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান।
সেদিনের সেই হামলায় একজন বন্দুকধারী মাজারটিতে একটি অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে প্রবেশ করে একদল মুসল্লী ও মাজারের কর্মকর্তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। পরে কর্তৃপক্ষ জানায়, নিরাপত্তাকর্মীদের পাল্টা হামলায় ওই বন্দুকধারী নিহত হওয়ার আগে ১৩ জনকে হত্যা করে আর এতে আহত হয় আরও ৪০ জন।
ঘটনার পর আমাক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আইএসআই এই হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করে।
২০১৭ সালে ইরানের পার্লামেন্টে সমন্বিত হামলার জন্য এবং তেহরানে ইরানের সাবেক সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনীর সমাধিসৌধে হামলার জন্যও ওই গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়।
এ বছরের জুন মাসের শুরুতে ইরান আইএসআইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এছাড়া আরো তিনজনকে পাঁচ থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।