নাগোরনো–কারাবাখে আজারবাইজানের অভিযান, আত্মসমর্পণের দাবি
বিরোধপূর্ণ অঞ্চল নাগোরনো–কারাবাখে ‘বিশেষ অভিযান’ চালিয়েছে আজারবাইজান। ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ অভিযান আখ্যা দিয়ে তারা আর্মেনিয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আত্মসমর্পণ করতে বলছে। আত্মসমর্পণ না করা হলে এই অভিযান থামবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানায়, সর্বশেষ কয়েক মাস ধরেই দক্ষিণ ককেসাস অঞ্চলে উত্তেজনা চলছে। এই অঞ্চলটি আজারবাইজানের বলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি। এ নিয়ে প্রতিবেশি দেশ আর্মেনিয়ার সঙ্গে বিরোধ রয়েছে আজারবাইজানের। সবশেষ তিন বছর আগে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে এই দুই প্রতিবেশি।
নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত একটি ভূখণ্ড, তবে এখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই জাতিগতভাবে আর্মেনীয়। আজারবাইজানের অভিযোগ, নাগোরনো-কারাবাখসহ আশপাশের বিশাল আজারবাইজানি ভূখণ্ড দখল করে রেখেছিল আর্মেনিয়া।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯০ দশকের শুরুতে প্রথমবারের মতো আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ২০২০ সালে আরেক যুদ্ধের মাধ্যমে নাগোরনো–কারাবাখ নিজেদের দখলে নেয় আজারবাইজান। এরপরে সেখানে যুদ্ধবিরতি সম্মত হয় দুদেশ।
এদিকে, মঙ্গলবার যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করেছে নাগোরনো-কারাবাখে বসবাস করা জাতিগতভাবে আর্মেনীয়রা। আলোচনার জন্য আহ্বানও জানায় তারা। তবে, আজারবাইজানের আল্টিমেটামে এটি স্পষ্ট যে তারা গোটা অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ চায়।
জাতিগত নির্মূলের লক্ষ্যে অঞ্চলটিতে আজারবাইজান অভিযান চালাচ্ছে বলে দাবি করছে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান। অভিযানের জেরে আর্মেনিয়ার পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেছে দেশটির শতাধিক নাগরিক। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও লিপ্ত হয়েছে তারা। প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ানকে গাদ্দার বলে অভিহিত করে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
আজারবাইজান বলছে, কারাবাখ অঞ্চলের রাজধানী ইয়েভলাখের ১০০ কিলোমিটার উত্তরে (৬০ মাইল) আঞ্চলিক রাজধানী খানখেন্দিতে আলোচনা হতে পারে। আঞ্চলিক এই রাজধানী জাতিগতভাবে আর্মেনীয়দের বাস বেশি।
২০২০ সাল থেকে দুদেশের যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করছে তিন হাজার রামিয়ান। তবে, ইউক্রেন যুদ্ধে জেরে তারা এখন সেটির দিকেই মনোনিবেশ করছে।