গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণ, হামাসের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর অন্ধকারাচ্ছন্ন অবরুদ্ধ শহর গাজার শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দিনগত রাতের আকাশ থেকে থেকে কমলা রঙের আলোচ্ছটায় আলোকিত হয়ে উঠছিল। এর সঙ্গে বিমান থেকে অব্যাহত বোমা বর্ষণের কান ফাটানো শব্দে একটু পরপর কেঁপে উঠছিল পুরো শহর।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় স্থল অভিযানের তীব্রতা আরও বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি গত তিন সপ্তাহের মধ্যে এখন বিমান হামলা চালানো হচ্ছে আরও বেশি ব্যাপ্তি নিয়ে। খবর এএফপির।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ডানিয়েল হাগারি বলেন, সেনাবাহিনী ট্যাংক নিয়ে পরপর দুই রাত অভিযান চালানোর পর তাদের হামলার গতি ও আকার আরও বাড়াচ্ছে।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানায়, গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে দুটি এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে।
এক বিবৃতিতে হামাসের ইজ্জেদিন আল কাশেম ব্রিগেডের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত হানুন ও মধ্যাঞ্চলে বুরেইজ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল পথে হামলার মোকাবিলা করছি। এসব এলাকায় ভয়াবহ সংঘর্ষ হচ্ছে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের আক্রমণের পর গাজায় ইসরায়েল সেনা অভিযান চালাবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। ওই হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার ৪০০ লোক নিহত এবং আরও প্রায় ২২০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় তুলে আনা হয়।
হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত তিন হাজার শিশুসহ সাত হাজার ৩২৬ জন নিহত হয়েছে। খাবার, সুপেয় পানি ও জ্বালানি তেল সরবরাহ ফুরিয়ে আসায় জাতিসংঘ গাজার ২৪ লাখ লোক অধ্যুষিত ছিটমহলটিতে মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
এদিকে, হামলা বন্ধ করতে উদ্যোগ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হামাস বলেছে, ইসরায়েল গতকাল শুক্রবার রাতে বিমান হামলার মাত্রা দ্বিগুণ করেছে। পাশাপাশি সংগঠনটি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে যেকোনো আগ্রাসী তৎপরতা ও দখলদারিত্বে বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে।