আন্দামান সাগরে যৌথ মহড়া চালাবে রাশিয়া ও মিয়ানমার
প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথ মহড়া চালাবে রাশিয়া। আন্দামান সাগরে হওয়া এই মহড়া চলবে আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত। এতে অংশ নেবে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর ও মিয়ানমারের নৌ বাহিনী। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, রাশিয়ার নৌ বাহিনীর প্রধান মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে হওয়া যৌথ মহড়ার আগেই এমনটি হলো। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অনুসারে, পশ্চিমাদের সঙ্গে বিবাদের মধ্যে প্রথমবারের মতো যৌথ মহড়া করছে তারা।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানিয়েছে, রাশিয়ার প্যাসিফিক ফ্লিট ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর নিরাপত্তা মহড়া ৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। উভয় বাহিনী জাহাজ, আকাশ, পানির নিচের বিপদ প্রতিরোধ ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুকরণ করে মহড়াগুলোতে অবদান রাখবে।
এএফপি জানিয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মস্কো। ক্ষমতা দখলের পর থেকেই জান্তা বাহিনীকে অস্ত্র ও কূটনীতিক সহায়তা দিয়ে আসছে তারা। বিপরীতে মস্কোকেও সমর্থন দিচ্ছে জান্তা সরকার। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে ন্যায়সঙ্গত বলছে।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটি বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত। দেশটির সামরিক বাহিনী ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।
মিয়ানমারের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক গত মে মাসে জানিয়েছিলেন, ক্ষমতা দখলের পর থেকে রাশিয়া থেকে ৪০ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনেছে জান্তা বাহিনী। এ ছাড়া ক্ষমতা দখলের পর বেশ কয়েকবার রাশিয়ায় সফরে গিয়েছেন জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং।