সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন কিম
সিউলে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়ে বছর শেষ করেছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন। পাশাপাশি যেকোনো মূহূর্তে উপদ্বীপে যুদ্ধ শুরু হতে, এমন বাস্তবতায় সামরিক অস্ত্রাগার প্রস্তুত রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। আজ রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, বছরের শেষ পাঁচদিনে একটি সম্মেলন হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। ২০২৪ সালে দেশটির রাজনৈতিক ও সামরিক পলিসি কেমন হবে সে বিষয়ে এই সম্মেলনে কথা হয়। এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন কিম।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, বছর শেষের এই সম্মেলনে আগামী বছরের জন্য সামরিক বাহিনীর জন্য বেশকিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে শত্রুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণে কক্ষপথে আরও তিনিটি গুপ্তচর স্যাটেলাইট পাঠানো। পাশাপাশি পারমাণবিক সক্ষতা আরও বৃদ্ধির আলোচনাও হয়েছে।
গত মাসে কক্ষপথে একটি সামরিক স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক স্থাপনার বেশ কিছু ছবি তাদের হাতে এসেছে বলেও দাবি করে তারা। পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া।
কেসিএনএ বলছে, আজ সম্মেলনটি শেষ হয়েছে। সম্মেলনে কিম যুক্তরাষ্ট্রকে বিভিন্ন ধরনের সামরিক হুমকি তৈরি করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। একইসঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীকে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য নিজেদের সক্ষমতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
সিউল ও ওয়াশিংটনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও বাড়ানোর কারণে দুই কোরিয়ার সম্পর্ক এখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে, এ বছর আগের সব রেকর্ড ভেঙে মারণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং।