রাখাইনে সংঘাত বাড়ায় আতঙ্কে রোহিঙ্গারা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ বাড়তে থাকায় রোহিঙ্গা মুসলমানেরা আবারও হামলা ও গৃহহীন হওয়ার হুমকিতে পড়েছেন বলে জাতিসংঘ ও দাতা সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
মে মাসের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে নাফ নদী সংলগ্ন এলাকায় পালিয়ে গেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
মে মাসের শুরুতে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায়। তবে রয়টার্স এই দাবি যাচাই করতে পারেনি। জান্তা সরকারের কাছে জানতে চাইলে কোনো উত্তর পায়নি রয়টার্স।
আরাকান আর্মি এখন মংডু দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেখানেও অনেক রোহিঙ্গা বাস করেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জানান, মংডুতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে সেনা ফাঁড়ি আছে। অনেক রোহিঙ্গা বাস করেন সেখানে।
বাংলাদেশে আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী মোহাম্মদ তাহের জানান, তিনি সম্প্রতি মংডুতে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছেন। ঐ বন্ধু তাকে জানিয়েছেন, সেখানকার মানুষ আতঙ্কে আছেন। ‘অনেকে রাখাইন থেকে পালাতে চান, কিন্তু বাংলাদেশ সুযোগ দিচ্ছে না’ বলে মন্তব্য করেন তাহের৷
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত সপ্তাহে রয়টার্সকে জানান, ‘কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
গত নভেম্বরে জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর রাখাইনে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়। আরাকান আর্মি কয়েকটি জায়গায় সফলতা অর্জন করে। এই অবস্থায় বিদ্রোহীদের রুখতে জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় বলে চলতি মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিসের মর্গান মাইকেল। ‘এর জবাবে আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়েছে,’ বলেও জানান তিনি।