যে কারণে নির্বাচন থেকে বাদ পড়লেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন বলে মনস্থির করেছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ। তবে, তার সেই প্রার্থিতায় অনুমোদন দেয়নি দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল। এর আগে ২০১৭ ও ২০২১ সালেও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সে সময়েও সাড়া দেয়নি এই কাউন্সিল।
এবার ভোটের লড়াইয়ে প্রার্থিতা পেতে আবেদন করলে সংশয়ের কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে তারা বলেছিল, দেশটিতে কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন, কে পারবেন না, সেটি নির্ধারণ করে ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে গঠিত ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’। এই কাউন্সিল চাইলে আহমেদিনেজাদের নিবন্ধন বাতিল করে দিতে পারে। ১১ জুন যাচাই-বাছাই শেষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে গার্ডিয়ান কাউন্সিল। আজ সোমবার (১০ জুন) ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে সেই সংশয় সত্যতায় রূপ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন আহমেদিনেজাদ। তিনি ইরানের চৌকস বিপ্লবী গার্ডের সদস্য ছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি প্রথমবারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১৩ পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। এই সময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ইসরায়েল সম্পর্কে উসকানিমূলক মন্তব্যের কারণে পশ্চিমাদের সঙ্গে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এরপর ২০১৩ সালে পদত্যাগ করেন তিনি। যদিও ২০১৭ ও ২০২১ সালে তিনি ফের নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে সে সময় তাকে বাধা দেওয়া হয়। এবারও সেই একই কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।