আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দাবি মাদুরোর
বিরোধী দলীয় কর্মীদের দমনপীড়নের অভিযোগ ও জালিয়াতির শঙ্কার মধ্যে গতকাল রোববার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ৫১.২ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। খবর এএফপির।
ভেনেজুয়েলার নির্বাচনি কর্তৃপক্ষের প্রধান এলভিস আমোরোসো এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, বিরোধী দলীয় প্রার্থী এডমান্ডে গোনজালেজ উরুটিয়া পেয়েছেন ৪৪.২ শতাংশ ভোট। তবে বিরোধী দল এই নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
স্বাধীন নির্বাচনি পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, রোববারের ভোটের মাধ্যমে ২৫ বছর ধরে চলতে থাকা সমাজবাদীদের শাসন অবসান হতে চলেছে। পূর্বসূরী হুগো শাভেজের পর ক্ষমতায় আসা মাদুরোর শাসনের ইতি ঘটছে।
কিন্তু আজ সোমাবার (২৯ জুলাই) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই ৬১ বছর বয়সী নিকোলাস মাদুরো তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।’
এদিকে মাদুরোর সমর্থকরা জয় উদযাপন করতে শুরু করলেও বিরোধী দলের ভোটাররা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গোনজালেজ উরুটিয়া ও বিরোধী দলের নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোর বক্তব্য শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
অন্যদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই নির্বাচনে ভেনেজুয়েলার ভোটারদের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়নি।
পেট্রোলিয়ম সম্পদে সমৃদ্ধ এই দেশটিতে ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন নিকোলাস মাদুরো। তিন কোটি জনসংখ্যার এক সময়ের সমৃদ্ধ এই দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে নিকোলাস মাদুরো বিরোধী দলের লোকজনকে হয়রানি করেন এবং তার সমালোচকদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন। বিরোধী মতকে দমনে কর্তৃত্ববাদী শাসন পরিচালনা করছেন তিনি। এই নির্বাচনে হেরে গেলে ‘রক্তস্নান’ হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।