বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে যেকোনো শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশটি।
গতকাল সোমবার (৩০ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বেদান্ত প্যাটেল। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপরাধ তরুণদের ধরপাকড় করছে ও তাদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন ছাত্রকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের পর জোর করে বিবৃতি আদায় করা হয়েছে। এরপর সেই বিবৃতি সরকারনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?
জবাবে প্যাটেল বলেন, এটি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। দেশটির সরকার ও ব্যক্তিগত উভয় ক্ষেত্রেই আমরা বর্তমান পরিস্থিতির একটি স্থায়ী এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার প্রতি আমাদের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি।
প্যাটেল আরও বলেন, সেখানে ইন্টারনেট যোগাযোগ কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু, আমরা জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। এতে আমাদের নিজস্ব মার্কিন নাগরিকসহ বাংলাদেশের জনগণও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদানপ্রদানে সক্ষম হবে।
সাংবাদিক আবারও তার প্রশ্নে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সিনেটের বেশ কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক কংগ্রেস সদস্য বলেছেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশে দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বলেন, ‘যারা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করতে চায়, আমরা অবশ্যই তাদের সমর্থন করি। তবে বিষয়টি যেহেতু মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে, আমরা অবশ্যই কংগ্রেসে আমাদের সহকর্মীদের যেকোনো প্রশ্নের গভীর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থাকি।