তেহরানে হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানের রাজধানী তেহরানে এক গুপ্ত হমলায় তার একজন দেহরক্ষীসহ নিহত হয়েছেন। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আজ বুধবার (৩১ জুলাই) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
ইরানের সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট সেপাহতে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইরানের ইসলামি রেভ্যুলিউশনারি গার্ড কোর জানায়, ‘ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার তেহরানের বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলায় তিনি এবং তার একজন দেহরক্ষী শহীদ হয়েছে।’
তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনার বিস্তারিত পরিষ্কারভাবে জানা না গেলেও বিল্পবী গার্ড বাহিনী জানিয়েছে, বিষয়টির তদন্ত চলছে।
ইরানের পার্লামেন্টে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পাজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য গতকাল মঙ্গলবার ইসমাইল হানিয়া তেহরানে আসেন। আসার পর তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ও প্রেসিডেন্ট পাজেশকিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
গত শনিবার গোলান মালভূমিতে লেবানন থেকে ছোড়া রকেটের হামলায় ১২ জন ইসরায়েলি তরুণ নিহত হওয়ার পর লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তজনার প্রেক্ষাপটে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠান।
শনিবারের রকেট হামলার জন্য ইসরায়েল ইরান সমর্থিত লেবানন ভিত্তিক হিজবুল্লাহ মিলিশিয়াদের দায়ী করে এসেছে। তবে হিজবুল্লাহ এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে।
ইরান ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি এবং দেশ দুটি একে অন্যকে শত্রু হিসেবে গণ্য করে। ইরান আগে থেকেই ইসরায়েলকে লেবাননে হামলা না চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার ইহুদি অধ্যুষিত দেশটি লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা চালায়। এতে হিজবুল্লাহর কমান্ডার ফুয়াদ শুকুর নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়। যদিও হিজবুল্লাহ এই দাবি অস্বীকার করেছে। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই তেহরান ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে।