বতসোয়ানায় মিলল বিশাল আকৃতির হীরা
আফ্রিকার অন্যতম ধনী দেশ বতসোয়ানার একটি খনি থেকে এ পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বড় হীরাগুলোর একটি আবিষ্কৃত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সেটি প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বতসোয়ানা সরকারের ধারণা, দুই হাজার ৪৯২ ক্যারেটের বিশাল এই পাথরটি খনি থেকে তুলে আনা দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরা।
কানাডার খনি কোম্পানি লুকারা ডায়মন্ড করপোরেশন বুধবার (২১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা বতসোয়ানার কারোয়ে খনি থেকে ‘ব্যতিক্রমী’ রুক্ষ হীরাটি আবিষ্কার করে।
লুকারা বলে, এটি একটি ‘উচ্চমানের’ পাথর এবং অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এক্স-রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাথরটি হীরা বলে শনাক্ত করা হয়।
লুকারার প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী উইলিয়াম ল্যাম্ব এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দুই হাজার ৪৯২ ক্যারেটের অসাধারণ এই হীরাটি উদ্ধার করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
এটি গত ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে পাওয়া সবচেয়ে বড় হীরা এবং ১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় কুলিনান নামের হীরকখণ্ড আবিষ্কৃত হওয়ার পর খনি থেকে খনন করা দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরা।
কুলিনান ছিল তিন হাজার ১০৬ ক্যারেট ওজনের, যা পরে কেটে রত্ন বানানো হয়। এর মধ্যে কয়েকটি ব্রিটিশ ক্রাউন জুয়েল বানানোর সময়ও ব্যবহার করা হয়।
১৮০০ এর দশকের শেষের দিকে ব্রাজিলে একটি বড় কালো হীরা আবিষ্কৃত হয়, তবে এটি মাটির ওপরে পাওয়া যায়। অনেকের বিশ্বাস, সেটি একটি উল্কাপিণ্ডের অংশ ছিল।
নতুন আবিষ্কৃত হীরাটি বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট মোকগউইতসি মাসিসির কার্যালয় থেকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
এর আগে, ২০১৯ সালে কারোয়ে খনিতে পাওয়া সেওয়েলো হীরাটি এক হাজার ৭৫৮ ক্যারেট ওজনের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খননকৃত হীরা হিসাবে স্বীকৃত ছিল। ফরাসি ফ্যাশন হাউস লুই ভুইতোঁ এটি কিনে নেয়। তবে, ঠিক কী পরিমাণ অর্থ খরচ করে তারা হীরাটি কেনে, তা এখনও প্রকাশ হয়নি।
এ ছাড়া বতসোয়ানার কারোয়ে খনি থেকে এক হাজার ১১১ ক্যারেটের লেসেদি লা রোনা হীরাটি ২০১৭ সালে ৫৩ মিলিয়ন ডলারে কিনেছিলেন এক ব্রিটিশ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাকৃতিক হীরার বয়স অন্তত ১০০ কোটি বছর এবং এর মধ্যে কিছু ৩০০ কোটি বছরেরও বেশি পুরানো হয়ে থাকে।