ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, নিহত ৪৪
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘হেলেনে’র আঘাতে এ পর্যন্ত ৪৪ জনের প্রাণহানির খবর জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী টালাহাসিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সরাসরি আঘাত হানার পর এখনও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছেন লাখ লাখ গ্রাহক। খবর এএফপির।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
চার মাত্রার হারিকেন হেলেন দুর্বল হয়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়েছে, বলা যেতে পারে এখন এটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে এর তাণ্ডব থেমে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে এখনও ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড বাতাস আর প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) পরিস্থিতিকে জীবনের জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছে।
মায়ামি ভিত্তিক এনএইচসি জানিয়েছে, ঝড়টি এখনও বিপর্যয়কর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করছে এবং এর প্রভাবে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড় শহরর আটলান্টায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। সংস্থাটি সাউথ ক্যারোলাইনা, নর্থ ক্যারোলাইনা ও টেনেসিতেও বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে।
হেলেনের প্রভাবে আপালাচিয়ান পাহাড়ি এলাকায় ৩০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে কোথাও কোথাও তার চেয়েও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
সাউথ ক্যারোলাইনাতে ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে দুজন ফায়ার ফাইটারসহ ১৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে একজন জরুরি বিভাগের কর্মীসহ মারা গেছে ১১ জন। ফ্লোরিডায় মারা গেছে সাতজন।
ঘূর্ণিঝড় হেলেন ২২৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে আঘাত হানে এবং এর আঘাতে অসংখ্য বাড়িঘরের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং গ্যাস স্টেশনগুলো মাটির সঙ্গে মিশে যায়। এ ছাড়া সৃষ্টি হয় প্রায় ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস। এখনও যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৫০ লাখেরও বেশি বাড়িঘর এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।