বৈরুতের দক্ষিণে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবানন ভিত্তিক মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেওয়ার ঘোষণার পরপরই এই হামলা শুরু হয়। খবর এএফপির।
রাজধানী বৈরুতের হারেত হারেইক এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার আগে সেখানকার অধিবাসীদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। নির্দেশের পরে চালানো হামলায় বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়।
গাজা ও লেবাননে যুদ্ধের বিষয়ে ইসরায়েলকে চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি তারা বৈরুতে হামলার কড়া সমালোচনা করে এবং গাজায় সাহায্যপণ্যবাহী ট্রাক বহর প্রবেশের মাধ্যমে ত্রাণ কাজ বাড়ানোর জন্য জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানায়। তবে এসব কিছু ছাড়িয়ে নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনঢ়।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সম্প্রতি দেশটির সঙ্গে লেবাননের সীমান্তে একটি ‘বাফার জোন’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জোর তাগিদ দিয়ে আসছে। ইসরায়েল চায় হিজবুল্লাহমুক্ত একটি এলাকায় হবে এই বিশেষ জোনটি।
এদিকে, এক টেলিভিশন বক্তৃতায় হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাশেম বলেছেন, এই মুহূর্তে সমাধানের একটিমাত্র উপায় আছে আর তা হলো যুদ্ধবিরতি। যদি যুদ্ধবিরতি না হয় হবে তা ইসরায়েলে আরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। নাইম কাশেম বলেন, ‘যেদিন থেকে ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননে হামলা শুরু করেছে তখন থেকেই আত্মরক্ষার খাতিরে যে কোনো ইসরায়েলি অবস্থানকে টার্গেট করার অধিকার আমাদের আছে।’
আজ বুধবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে ৫০টিরও বেশি রকেট দেশটির উত্তরে ছোড়া হয়েছে। তবে এতে কোনো হাতহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা জানা যায়নি।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালায়। ওই হামলায় তিন শিশুসহ মোট ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে লেবাননের সরকারি সংবাদ সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি।