নারীদের নিয়ে ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা কমলার
নারীদের গর্ভপাতের অধিকারকে আবারও সামনে নিয়ে এসে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস তার প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। কমলা হ্যারিস অভিযোগ করেন ট্রাম্প তার বক্তব্যে নারীদের সম্পর্কে ‘খুবই আক্রমণাত্মক’ মন্তব্য করেছেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখানেই থেমে থাকেননি, অভিবাসীদের নিয়েও তিনি বেশকিছু অবমাননাকর কথা বলেছেন। খবর এএফপির।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই প্রার্থীই একটু একটু করে এগিয়ে যেতে চাইছেন। আর এর অংশ হিসেবে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে সুইং স্টেট বা ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলোতে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।
কালো ওভারকোট ও কালো রঙের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ টুপি পড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নিউ মেক্সিকোতে তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, অভিবাসীরা পুরো আমেরিকাজুড়ে সহিংসতা ও হত্যার ধারা চালিয়ে যাচ্ছে।
নির্বাচনের ফলাফলে সিদ্ধান্ত প্রদানকারী হিসেবে বিবেচিত সাতটি সুইং স্টেটে প্রচারণায় একে অন্যকে ছাড়িয়ে যেতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস। একদিকে নিউ মেক্সিকোতে প্রচারণায় ব্যস্ত ট্রাম্প আর অন্যদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার নেভাদার লাসভেগাসে কমলা হ্যারিসের জনসমাবেশে যোগ দেন পপ আইকন জেনিফার লোপেজ।
ট্রাম্পও নেভাদায় সমাবেশ করেছেন আর অ্যারিজোনার ফিনিক্সে কথা বলেন কমলা হ্যারিস। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজের সাবেক হোস্ট টাকার কর্লসনকে সাক্ষাৎকার প্রদান করেন।
গত বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনি সমাবেশে কমলা হ্যারিস মন্তব্য করেন তিনি আমেরিকান নারীদের রক্ষা করতে চান। আর এক্ষেত্রে দেশের নারীরা তাকে পছন্দ করুক বা না করুক তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন।
ফিনিক্সের সমাবেশে কমলা হ্যারিস অভিযোগ করেন, ট্রাম্প নারীদের বিশ্বাস করেন না। তিনি প্রশ্ন তোলেন নারীদের নিজের শরীরকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কোনো এজেন্সি বা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কতটুকু যুক্তিযুক্ত। কমলা বলেন, ‘ট্রাম্প হলেন সেই লোক যিনি বলেছিলেন, নারীদের তাদের পছন্দের জন্য শাস্তি দেওয়া উচিত। কিন্তৃ আমরা নারীদের বিশ্বাস করি।’ তিনি এ সময় হর্ষোৎফুল্ল জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘সি সে পুয়েদে (হ্যাঁ আমরা পারি)।’
অন্যদিকে, নিউ ম্যাক্সিকোতে নির্বাচনি সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটন ও কমলা হ্যারিসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘সে (কমলা হ্যারিস) আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তিনি বাইডেন হ্যারিস প্রশাসনের অভিবাসন নীতিরও কড়া সমালোচনা করেন।