কাজাখস্তানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ৩২ জন জীবিত উদ্ধার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/12/25/airplane.jpg)
আজারবাইজান এয়ালাইন্সের একটি উড়োজাহাজ আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ৬৭ জন আরোহী নিয়ে তার নির্ধারিত রুট থেকে সরে গিয়ে কাজাখস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে। কাস্পিয়ান সাগরের উপকূলে তেল ও গ্যাস হাব হিসেবে পরিচিত আকতাও শহরের কাছে এমব্রায়ের ১৯০ মডেলের বিধ্বস্ত হওয়া এই উড়োজাহাজটি থেকে ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাজাখস্তানের সরকারি কর্তৃপক্ষ। বিকেল ৫টার দিকে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
উড়োজাহাজটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে কাস্পিয়ান সাগরের পশ্চিম তীরে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনার পরপর আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ রাশিয়ায় তার সফর সংক্ষিপ্ত করেছেন। সেখানে কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস বা সিআইএসভুক্ত দেশগুলোর এক অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সমন্বয়ে এই জোট গঠিত।
কাজাখস্তানের পরিবহণ মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে এক বার্তায় জানায়, বাকু-গ্রোজনি রুটে চলাচলকারী একটি উড়োজাহাজ আজ বুধবার আকতাও শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। উড়োজাহজটি আজারবাইজানের জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে ৬২ জন যাত্রী এবং পাঁচজন ক্রু ছিল। তারা আরও জানায় আকতাও শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণ করে।
কাজাখস্তানের পরিবহণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জন আজারবাইজানের, ছয়জন কাজাখস্তানের, তিনজন কিরগিজস্তানের এবং ১৬ জন রাশিয়ার।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/12/25/bimaan_bidhbst_inaar_0.jpg)
কাজাখস্তানের জরুরি অবস্থাবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি অবতরণের পরপরই তাতে আগুন ধরে যায় এবং তাদের লোকজন পরে ওই আগুন নিভিয়ে ফেলে। মন্ত্রণালয়টি আরও জানায়, প্রাথমিক তথ্য অনুসারে দুই শিশুসহ ৩২ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে জরুরি বিভাগের দেড়শ লোক কাজ করছে।
কাজাখস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে রাজধানী আস্তানা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি দলকে বিশেষ ফ্লাইটে আকতাও শহরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নিজে এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।