মাস্কের ট্রেজারি বিভাগের নথিতে প্রবেশ আটকে দিল আদালত
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/09/iln-maask.jpg)
ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সিকে (ডিওজিই) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের রেকর্ডে প্রবেশ থেকে নিষিদ্ধ করেছেন একজন ফেডারেল বিচারক। এর ফলে লাখ লাখ আমেরিকানের ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য মাস্কের দল আর দেখতে পারবে না। খবর বিবিসির।
মার্কিন জেলা বিচারক পল এ. ইংগেলমায়ার স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) একটি প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে মাস্ক ও তার দলকে অবিলম্বে যে কোনো অনুলিপি ধ্বংস করার নির্দেশ দেন।
এমন সময় এই আদেশ আসলো, যখন ১৯টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মাস্ককে বিশেষ সরকারি কর্মী হিসেবে এই ধরনের সংবেদনশীল নথি দেখার সুযোগ দেওয়ায় ফেডারেল আইন লঙ্ঘন হয়েছে, কারণ ডিওজিই কোনো অফিসিয়াল সরকারি বিভাগ নয়।
এ নিয়ে মাস্ক এক্সে (সাবেক টুইটার) এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, "এটা সম্পূর্ণ পাগলামি! জনগণের করের টাকা কীভাবে ব্যয় হচ্ছে, তা না দেখলে কীভাবে জালিয়াতি ও অপচয় বন্ধ করব?"
বিচারক ইংগেলমায়ারের আদেশে বলা হয়েছে, এই তথ্য অপ্রত্যাশিতভাবে ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করবে এবং সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়াবে। ফলে, শুধুমাত্র ট্রেজারি বিভাগের সিভিল সার্ভেন্টরা যারা ব্যাকগ্রাউন্ড চেক পাস করেছেন এবং ব্যুরো অফ ফিসক্যাল সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী, তারা এই নথিগুলোতে অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/02/09/musk.jpg)
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা
ডেমোক্র্যাটিক অ্যাটর্নি জেনারেলরা ট্রাম্প, ট্রেজারি বিভাগ এবং ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস বলেছেন, "ট্রাম্প প্রশাসন মাস্ক ও ডিওজিইকে নজিরবিহীনভাবে ব্যক্তিগত ডাটায় প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে। এর ফলে আমাদের হাজার হাজার নাগরিকের গোপনীয়তা ও সরকারি সহায়তার অর্থ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।"
উল্লেখ্য, মাস্ক ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে একাধিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন। ডিওজিই ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনএআইডি) ব্যাপক খরচ কমানোর কাজ করছে, যার ফলে বৈশ্বিক সহায়তা বিতরণেও প্রভাব পড়ছে।
এই নিষেধাজ্ঞা ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বহাল থাকবে।