গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাপকভাবে ইসরায়েল ও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বাইরের বিভাগীয়. জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে মানববন্ধন এবং সমাবেশ করা হয়েছে। এসব সমাবেশ থেকে ইসরায়েলি পণ্য বর্জন ও ইহুদিবাদি দেশটিকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিক্ষোভ থেকে ‘ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বয়কট ইসরায়েল’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ইসরায়েল উইল বি সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘নিউইয়র্ক উইল বি সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়।
সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভের খবর
গোপালগঞ্জ
সারা দিন ইসরায়েল ও ট্রাম্পবিরোধী স্লোগানে উত্তাল ছিল গোপালগঞ্জ জেলা। মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরও কর্মসূচি ছিল।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের আয়োজনে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীরা স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। এছাড়া বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ওলামা পরিষদের আয়োজনে জেলার প্রাণকেন্দ্র লঞ্চঘাট এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
খুলনা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছেন। তাদের বর্বরতা থেকে নারী-শিশু কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। অনবরত বোমার আঘাতের মসজিদ-মাদরাসা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিশ্ব মানবতা তার দিকে কোনো নজর দিচ্ছে না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান।
কিশোরগঞ্জ
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাধারণ মানুষ। জোহরের নামাজের পর জেলা শহরের শহীদী মসজিদ এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদী মসজিদ চত্বরে এসে একত্রিত হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
এ সময় জেলা শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রণি-পেশার মানুষ।
এদিকে সকালে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে একই দাবিতে ‘নো ক্লাস, নো এক্সাম, নো স্কুল’ কর্মসূচি পালন করেন কিশোরগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
এই কর্মসূচিতে ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনাজপুর
দিনাজপুরেও গাজায় ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে মিছিলের শহরে পরিণত দিনাজপুর। এ সময় তারা ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান।
দিনাজপুর সরকারি কলেজ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ও পলিটেকনিক কলেজ মোড়সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করা হয় একাধিক মিছিল। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলা শহরে বের করা হয় ইসরায়েলবিরোধী মিছিল। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করে তারা।
লালমনিরহাট
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের ডাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তুষভাণ্ডার সুপার মার্কেটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে কর্মসূচি শেষ হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সরওয়ার জাহান রাফিন, তুষভাণ্ডারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুনতাসির রহমান রিপন ও হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদ।
সমাবেশে বক্তারা গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি করে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনে সবাইকে আহ্বান জানান।
সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ জেলার আনোয়ারা মুজাহিদ নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গাজায় ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে। দুপুর ১২টায় সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলফাত স্কয়ারে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ইসরায়েলের হানাদাররা লাগাতার ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করে আসছে, যা মানবতাকে কলঙ্কিত করছে। কিন্তু বিশ্ব আজ নীরব ভূমিকা পালন করছে, আজ আমাদের ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই।
বরিশাল
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বরিশাল জেলায়ও বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদর রোডে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ। এরপর ‘মার্চ টু ফিলিস্তিন’ লেখা ব্যানার নিয়ে সদর রোডে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা।
এ সময় ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার তীব্র নিন্দা এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, ইসরাইল যদি এখনই হামলা বন্ধ না করে, তবে মুসলিম বিশ্ব ‘মার্চ টু ফিলিস্তিন’ কর্মসূচির মাধ্যমে জবাব দেবে।
কুমিল্লা
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীও সকাল থেকে বিক্ষোভে উত্তাল ছিল। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে।
কুমিল্লায় বিক্ষোভ-মিছিল করেছে এনসিপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নগরীর কান্দিরপাড়েও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরীর আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, ‘ইসরায়েলের গুণ্ডারা মুসলমানদেরকে নির্বিচারে হত্যা করছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দাবি—দ্রুত জাতিসংঘের কাছে ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করুন। সারা বিশ্বের মুসলমানদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
ঝালকাঠি
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকাল ৯টায় সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ সময় ঘৃণা জানাতে নেতানিয়াহুর ছবি পদদলিত করা হয়। কেবল ধর্ম নয়, বিশ্ব মানবতা রক্ষায় আহ্বান জানানো হয় এ কর্মসূচি থেকে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে। এ সময় সময় শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
যশোর
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে যশোরেও হাজারো ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। ‘লাখো শহীদের রক্তের ঋণ, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়েছে শহরের রাজপথ। সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা ভৈরব শহীদ চত্বরে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি এমএম কলেজ, সিটি কলেজ, আল হেরা ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।
বিক্ষোভকারীরা দড়াটানা থেকে একটি বিশাল মিছিল বের করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এসে শেষ করে। সমাবেশে বক্তব্য দেন লেখক ও গবেষক বেনজিন খান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সমন্বয়কারী রাশেদ খান।
বক্তারা বলেন, ইসরায়েল মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা ফিলিস্তিনকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
টাঙ্গাইল
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আজ সকালের দিকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলবিরোধী মিছিল বের করে। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হয় তারা। মিছিলে নানা শ্রেণি-পেশার লোক যোগ দেয়।
এ সময় তারা ইসরায়েলবিরোধী এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিছিল শেষ হয়। টাঙ্গাইল হেফাজতে ইসলাম দুপুর ২টার দিকে মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
রাজশাহী
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং রাজশাহী নগরীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসের প্যারিস রোডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনিস্টিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এ ছাড়া দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।
সমাবেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সালেহ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান মুক্তাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী কলেজে সংহতি সমাবেশ করা হয়। এসব কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ছাড়াও মুসল্লিরা অংশ নেন। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়ে তারা আরও বলেন, আমেরিকার মতো যেসব দেশ এমন গণহত্যা দেখেও নিশ্চুপ তাদের বয়কট করতে হবে।