হোসেন শহীদ মজনুর ‘জুলাইয়ের প্রেমহীন দিনগুলো’

গল্পকার, কবি ও সাংবাদিক হোসেন শহীদ মজনুর গল্পগ্রন্থ ‘জুলাইয়ের প্রেমহীন দিনগুলো’ এখন বাজারে। বইটি প্রকাশ করেছে ভাষাচিত্র।
বইটির ফ্ল্যাপে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম লিখেছেন—দীর্ঘদিন পত্রিকা সম্পাদনায় জড়িত থেকে আমি লক্ষ করেছি আমাদের দেশে তরুণ যারা লেখালেখিতে আসেন, তারা গদ্য লেখার পরিশ্রমে পরাঙ্মুখ। গদ্যে অনীহা থেকে, অনাগ্রহ থেকে কিংবা অপছন্দ থেকে বোধকরি এমনটি হচ্ছে। আমি তার গল্পগুলো পড়েছি—তার গদ্য চলিষ্ণু, পাঠককে টেনে নিয়ে যাবে। আশা করি, তার গল্প পাঠকের ভালো লাগবে।
হোসেন শহীদ মজনু বর্তমানে দৈনিক যুগান্তরে বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯২ সালে এইচএসসিতে পড়াকালে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ; বাম রাজনীতিক কমরেড নির্মল সেনের সংস্পর্শে আসেন। তখনই তার সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। ১৯৯৬ সালে জন্মস্থান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ছেড়ে ঢাকায় আসেন। সাংবাদিক-লেখক বন্ধু কাজল রশীদ শাহীনের অনুপ্রেরণায় ওই সময় দৈনিক রূপালীতে প্রতিবেদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু। এ সময় তিনি ঢাকা কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএর ছাত্র।
২০০৪ সালে অভিনেতা-নাট্যপরিচালক সুরুল আলম মিল্কীর অনুপ্রেরণায় তৌকীর আহমেদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘নক্ষত্র’ চলচ্চিত্রে যুক্ত হন। সাংবাদিকতায় ছেদ পড়ে। ওই বছরই জুনে আমজাদ হোসেনের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘সময়-অসময়’ অবলম্বনে ‘জয়যাত্রা’ চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন তৌকীর আহমেদ। এতে সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পান মজনু। ২০০৫ সালেই আবার সাংবাদিকতায় ফেরেন; পাশাপাশি কাজল রশীদ শাহীনের রচনা ও নুরুল আলম মিল্কীর পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধের নাটক ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ সহকারী পরিচালকের দায়িত্বের পাশাপাশি ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন। একই লেখক-পরিচালকের ‘বৈদেশী’ নামের আরেকটি টিভি নাটকেও সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
‘জুলাইয়ের প্রেমহীন গল্প’লেখকের তৃতীয় মৌলিক গ্রন্থ। এর আগে ২০১১ সালে ‘ভূত অথবা ভবিষ্যতের গল্প’ (ছোটগল্প গ্রন্থ) ও ২০০৯ সালে ‘প্রতিধ্বনি কমরেড’ (কবিতা গ্রন্থ) প্রকাশ হয়। এ ছাড়া তার সম্পাদনায় ‘২১টি প্রেমের গল্প’ (২০২১); ‘ছোটদের মজার মজার ভূতের গল্প’ (২০২০) ও ‘নির্বাচিত ছোট গল্প’ (যৌথ সম্পাদনা; ২০১৯) প্রকাশ হয়েছে।