বইমেলায় ' মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১' বইটির প্রকাশনা উৎসব
নিউইয়র্ক প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক শামীম আল আমিনের লেখা 'মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১' বইটির প্রকাশনা উৎসব হয়ে গেল অমর একুশে বইমেলায়। উৎসবকে ঘিরে বিপুল উৎসাহী মানুষের এক মিলনমেলাতে পরিণত হয়েছিল অনুষ্ঠানস্থল।
২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মানুষের ঢল নেমেছিল বইমেলায়। সন্ধ্যায় মোড়ক উন্মোচনের জন্য নির্ধারিত মঞ্চে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং খ্যাতিমান সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। বইটির প্রকাশক আদিত্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী আফজাল হোসেন ধন্যবাদ জানিয়ে সবার উদ্দেশে বক্তব্য দেন। সাংবাদিক পারভেজ রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর একে একে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সবাই।
‘মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ কে বলা চলে ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহের একটি দলিল। কেননা ২০১৮ সালের ১১ মে, শুক্রবার বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইটটি উড়ে যায় মহাকাশের উদ্দেশে। আর ঘড়ির কাঁটায় ফ্লোরিডার সময় তখন বিকেল ৪টা ১৪ মিনিট। বাংলাদেশে শুক্রবার শেষ হয়ে শনিবারে পড়েছে। ক্ষণ ২টা ১৪ মিনিট। ঐতিহাসিক সেই দিনে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে উপস্থিত থাকার অভিজ্ঞতা আর বিস্তারিত তথ্য নিয়ে শামীম আল আমিন লিখেছেন 'মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১'। যা অসংখ্য মানুষের কৌতূহল মেটাবে।
ঐতিহাসিক সেই প্রেক্ষাপটের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ মহাকাশে পাঠিয়ে আমরা ৫৭তম দেশ হিসেবে যে গৌরব অর্জন করেছিলাম, এই বইটি তার প্রামাণ্য দলিল হয়েই থাকবে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বইটি কেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে তা তুলে ধরেন।
ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতার নামে এই স্যাটেলাইটি পাঠিয়ে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। এখন এই স্যাটেলাইটের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা তুলে নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন সাংবাদিককে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক অনেক ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। এমন ঘটনা নিয়ে বই লেখা চমৎকার একটি উদ্যোগ।
পরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বইটির লেখক শামীম আল আমিন। তিনি বলেন, নিয়মিত গল্প আর উপন্যাস লেখার পাশাপাশি কখনো এমন কিছু নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে, যা একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজটি করতে পেরে নিজের ভালোলাগার কথা জানান তিনি।
প্রকাশনা উৎসবে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে বিজবন্ড আইটি এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।