প্রার্থনার ভূমিকা
[দীর্ঘ আট বছর পর প্রকাশিত হইল সলিমুল্লাহ খানের নতুন বই ‘প্রার্থনা’। ‘প্রার্থনা’ সলিমুল্লাহ খানের নতুন বই। বিষয় একালের কয়েকজন মহাত্মা। এই স্মৃতি কিংবা রচনাবিচরণ ১৯৯৯ হইতে ২০১৮ সালের মধ্যে লিখিত। বিষয়গণ কেহ লেখকের পরম শিক্ষক, কেহ প্রাণের বন্ধু কি ছাত্র আর কেহ বা তাঁহার কালের সাধক। গ্রন্থভুক্ত শোকনিবন্ধ নির্ভেজাল অশ্রু বিসর্জন নহে, কিছু গুরুতর প্রশ্নেরও বিস্তার। আর মুখবন্ধ জাতীয় গুটিকয় রচনা বারবার মেলিয়া দেয় লেখকের স্মৃতির ঝাঁপি। লেখক ‘আত্মকথা’ রচিতে নারাজ। ফলে তাঁহার জীবনস্মৃতির স্বাদ এই স্মৃতিমালার ঘোলেই আমাদের মিটাইতে হইবে।
‘প্রার্থনা’ আবুল খায়ের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান সম্পাদিত জাতীয় সাহিত্য গ্রন্থমালার দ্বিতীয় খণ্ড। প্রথম খণ্ডের নাম ‘আহমদ ছফা সঞ্জীবনী’—বাহির হইয়াছিল ২০১০ সালে।
‘প্রার্থনা’ প্রকাশ করিয়াছে মধুপোক। ইহার পরিবেশক আগামী প্রকাশনী। বইয়ের ভূমিকাটি এখানে হুবহু পুনর্মুদ্রণ করা হইল।
সূত্র : সলিমুল্লাহ খান, ‘প্রার্থনা’, আবুল খায়ের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান সম্পাদিত, জাতীয় সাহিত্য, ২য় খণ্ড (ঢাকা : মধুপোক, ২০১৯), পৃ. (১৪)-(১৯)।]
প্রার্থনা
পঞ্চাশ পেরলে লোকে প্রগল্ভ হবার অধিকার লাভ করে, কিন্তু তবুও সাদা চুল ও শ্বেত শ্মশ্রুতেও অহমিকাকে একেবারে সম্পূর্ণ শুভ্র করে তুলতে পারে না।
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৪২২/ক: ৬৮৭)
গোড়াতেই বলিয়া রাখি, ছোট্ট এই বহিটি আদৌ আমার জীবনস্মৃতি নহে, বড়জোর বিচ্ছিন্ন কয়েকটি স্মৃতিকথার সমষ্টি মাত্র। এই স্মৃতিকথার মোড়কে আমি হয়ত আমার বিষয়ের কথা যতটা বলি নাই তাহার অধিক নিজের কথাই বলিয়াছি। আমার চুল এখনো ষোল আনা শাদা হয় নাই, শ্মশ্রু শ্বেত হইবার কথাও উঠিতেছে না, তবু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহিত জোড় মিলাইয়া বলিব অহমিকা একেবারে সম্পূর্ণ শুভ্র হইয়া উঠে নাই। তাহার উপর একটু শুমার করিয়া দেখিলেও হয়ত দেখিবেন স্মৃতিকথা কখনো কখনো বিস্মৃতির নামান্তর বৈ নয়। আমার অভিধানে ‘বিস্মৃতি’ শব্দটির আরেক অর্থ অপরবেলার স্মৃতি—অর্থাৎ যাহা আজও স্মৃতিতে প্রবেশ করে নাই তাহার স্মৃতি।
লোকে বলে ইতিহাস মানে স্মৃতি। আমি বলিবার চেষ্টা করি ইতিহাসের অপর নাম বিস্মৃতি। বাল্টার বেনিয়ামিন নামধারী জনৈক এয়ুরোপিয়া ভদ্রলোক একদা লিখিয়াছিলেন, ইতিহাস মানে তাহাই যাহা ইষ্টনামের মত পরম দুর্দিনে মনে ঝিলিক মারে। আমরা গরিব। শুদ্ধ মনে করাইয়া দিতেছি—সুখের দিনের পায়রা যাহা ভুলিয়া থাকে তাহাই ইতিহাস। এই নাদান নাচিজ কেতাবে আমি মাত্র এই দুইটা কথা সাধারণের দরবারে পেশ করিবার কোশেশ করিয়াছি।
১৯৭৬ সাল নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হইবার পর আমি—আমাদের কালের এই অভিশাপে—এই ঘরে ঘরে ভাগ করা হাজারদুয়ারি লেখাপড়ায় আগ্রহ একপ্রকার হারাইয়া ফেলিয়াছিলাম। লাভের মধ্যে ঢাকা নগরে বসবাস করিবার উপরি পাওনা দুই পয়সাস্বরূপ সাহিত্য ব্যবসায়ী অনেকের সহিত পরিচিত হইলাম। এক্ষণে কিছু কিছু বৃত্তিকারের সহিত মেলামেশাও শুরু করিলাম।
এই মেলামেশার সূত্রেই নবীন ও নাতিনবীন অনেক ব্যবসায়ীর সহিত আলাপ-পরিচয়। এই মহাত্মাদের অনেকেই—সর্বাগ্রে মহাত্মা আহমদ ছফা—ইতিমধ্যে চিরস্মরণীয় হইয়াছেন। তাঁহার কথা আমি অন্যত্র লিখিয়াছি। আহমদ ছফার কথা অমৃতসমান। সে কথা বলিয়া ফুরান যাইবে না।
আর যাঁহাদের সহিত মেলামেশার সৌভাগ্য অর্জন করিয়াছিলাম তাঁহাদের কয়েকজনের কথা এই ছোট্ট বহিটিতে জড় করিয়াছি। বলিয়া রাখা ভাল, লেখাগুলি লিখিয়াছিলাম নানা প্রয়োজনে, নানান উপলক্ষে, নানান ছুটির ঘণ্টার শব্দ শুনিতে শুনিতে। প্রতিটি লেখাই অসম্পূর্ণ এবং আজিকার দিনে—রবীন্দ্রনাথের সুরে বলি—একপ্রকার অনাবশ্যকও বটে। ইতিহাসের খনিজ আকারে এইগুলির মূল্য বিশেষ নাই। একান্ত কোন অজ্ঞান চিত্রকরের ছবি কিংবা সাহিত্যের সামগ্রী বিচারে ইহাদের কিছু মূল্য থাকিলেও থাকিতে পারে। ‘জীবনস্মৃতি’র গোড়ার দিকে ঠাকুর বলিয়াছিলেন,
এই স্মৃতির মধ্যে এমন কিছুই নাই যাহা চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিবার যোগ্য। কিন্তু বিষয়ের মর্যাদার উপরেই যে সাহিত্যের নির্ভর তাহা নহে; যাহা ভালো করিয়া অনুভব করিয়াছি, তাহাকে অনুভবগম্য করিয়া তুলিতে পারিলেই মানুষের কাছে তাহার আদর আছে। নিজের স্মৃতির মধ্যে যাহা চিত্ররূপে ফুটিয়া উঠিয়াছে তাহাকে কথার মধ্যে ফুটাইতে পারিলেই, তাহা সাহিত্যে স্থান পাইবার যোগ্য। (ঠাকুর ১৪২২/খ: ৪১১)
স্মৃতি ও বিস্মৃতি—দুঃস্বপ্নের মত এই দুই পদার্থ—আশ্চর্য জুটি বটে। স্মৃতি জিনিশটার সহিত তাহার বিধবা বিস্মৃতির সম্পর্কটি সঠিক কি সেই বুঝ খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও দিয়া যান নাই। মাত্র বলিয়াছেন: ‘স্মৃতির পটে জীবনের ছবি কে আঁকিয়া যায় জানি না। কিন্তু যেই আঁকুক সে ছবিই আঁকে। অর্থাৎ যাহা কিছু ঘটিতেছে, তাহার অবিকল নকল রাখিবার জন্য সে তুলি হাতে বসিয়া নাই। সে আপনার অভিরুচি অনুসারে কত কি বাদ দেয়, কত কি রাখে। কত বড়কে ছোট করে। ছোটকে বড় করিয়া তোলে। সে আগের জিনিশকে পাছে ও পাছের জিনিশটাকে আগে সাজাইতে কিছুমাত্র দ্বিধা করে না। বস্তুত তাহার কাজই ছবি আঁকা, ইতিহাস লেখা নয়।’
ঠাকুরের সামান্য অগ্রজ জিকমুন্ট ফ্রয়েড ঘটনাচক্রে এই চিত্রকরের নাম রাখিয়াছিলেন ‘অজ্ঞান’। অজ্ঞানের আবির্ভাব ও তিরোভাব দুই ঘটনাই আকস্মিক বটে। ঠাকুরের লেখায়ও দেখা যায় এই ভাব।
যখন পথিক যে-পথটাতে চলিতেছে বা যে-পান্থশালায় বাস করিতেছে, তখন সে-পথ বা সে-পান্থশালা তাহার কাছে ছবি নহে—তখন তাহা অত্যন্ত বেশি প্রয়োজনীয় এবং অত্যন্ত অধিক প্রত্যক্ষ। যখন প্রয়োজন চুকিয়াছে, যখন পথিক তাহা পার হইয়া আসিয়াছে তখনই তাহা ছবি হইয়া দেখা দেয়। জীবনের প্রভাতে যে-সকল শহর এবং মাঠ, নদী এবং পাহাড়ের ভিতর দিয়া চলিতে হইয়াছে, অপরাহ্ণে বিশ্রামশালায় প্রবেশের পূর্বে যখন তাহার দিকে ফিরিয়া তাকানো যায়, তখন আসন্ন দিবাবসানের আলোকে সমস্তটা ছবি হইয়া চোখে পড়ে। (ঠাকুর ১৪২২/খ: ৪১১)
‘স্মৃতি’ পদের সহিত ‘ভালবাসা’ নামক পদার্থের একটা আত্মীয়তা আছে বৈকি। সংস্কৃত ভাষার যে শব্দ হইতে ‘স্মৃতি’ শব্দটি নিষ্পন্ন সেই ‘স্মরা’ শব্দের অর্থও বহুগামী। ইহার এক অর্থ ‘প্রেমে পড়া’ আর অর্থ ‘স্মরণ করা’। দেখিলাম প্রেমে পড়ার অপর নামই স্মরণ করা। এখানে এক অর্থ অন্য অর্থটির রূপকবিশেষ। (সাহনি ২০০৯: ২২)
স্মরণ বলিতে প্রেম না বুঝাইতে পারে, প্রেম বলিতে স্মরণ বুঝাইবেই। প্রেম ছাড়া স্মরণ থাকিলেও থাকিতে পারে কিন্তু বিস্মরণে প্রেম কোথায়! ‘প্রথম দৃষ্টিতে প্রেম’ বলিয়া একটি বিলাতফেরত সংস্কার এখনো এ দেশে আপদের কারণ হয়। দেশের ধুরন্ধর সমাজ একদা এই সংস্কারটি বিনা বাক্যে গ্রহণ করিয়াছিলেন। এক্ষণে তাহা বর্জন করিলেও চলিবে।
‘প্রথম দৃষ্টিতে প্রেম’ আর ‘চোখের আড়াল হইলে প্রেম’—এই দুই সংস্কারে ভেদ আছে। ইসাবি পঞ্চম শতকের সংস্কৃত কবি কালিদাসের সহিত উনিশ শতকিয়া ফরাশি কবি বোদলেয়রের তুলনায় সমালোচনা করিলে পার্থক্যটা ভালভাবে আমল করা যায়। কালিদাসের নায়িকা প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়েন আর বোদলেয়রের নায়ক প্রেমে পড়িয়াছিলেন অদৃষ্টপূর্ব প্রেমিকাটি দৃষ্টির আড়াল হইবার—আক্ষরিক অর্থে নিরুদ্দেশ হইবার—পর মাত্র। এই পার্থক্যকে আধুনিকতার সংজ্ঞা আকারে গ্রহণ করা যায়। একদা এই রায় দিয়াছিলেন জার্মান তত্ত্বজ্ঞ বাল্টার বেনিয়ামিন। (কালিদাস ২০০৮, ঠাকুর ১৪২২/গ, বোদলেয়র ১৯৭৫, বেনিয়ামিন ২০০৬: ১৪-১৫, ২০, ৭৬-৭৭, ১৮৪-৮৫)
এই নাদান সংগ্রহে যে সকল মনুষ্যের কথা ভাষায় প্রকাশ করিবার চেষ্টা করিয়াছি তাঁহারা ইতিহাসের বিশেষ ক্রান্তিকালের সন্তান। একটা কাল গুজরান না করিলে অনেক কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই ক্রান্তিকালটা শেষ হয় নাই বলিয়াই ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশ কি কারণে ভাগ হইয়াছিল তাহার অনুসন্ধান আজও শুরু হয় নাই।
ইংরেজ প্রভুর সুরে সুর মিলাইয়া একদা বাংলাদেশের একশ্রেণির পণ্ডিত প্রচার করিতেন, এ দেশের ইতিহাসে ছয়শত বছর—ত্রয়োদশ হইতে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত—দেশের ইতিহাসের অংশই নহে। এই যুগকে তাঁহারা ‘মুসলমানি যুগ’ বলিয়া খারিজ করিয়া দিয়াছিলেন। তাঁহাদের মতে যুগটা ছিল বাংলার ইতিহাসের ‘প্রভাবলেশহীন বহিরাগত প্রসঙ্গ’।
ইহারই প্রতিক্রিয়ায় এ দেশের মুসলমানদের একাংশ পাল্টা ধরিয়া লইয়াছিলেন ইংরেজি ১২০৪ সালের আগের যুগটাই বরং বাংলার ইতিহাসের ‘বহিরাগত প্রসঙ্গ’। ইতিহাসের এই পরস্পরবিরোধী ঝোঁকের প্রকোপে—পাঞ্জা লড়াইয়ের কারণে—মাত্র ১৯৪৭ সালের দেশভাগ সফল হইয়াছিল। আবু মহামেদ হবিবুল্লাহ্ বলিতেন, ধর্মের কারণে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ হয় নাই, হইয়াছিল বিসদৃশ ইতিহাস ব্যবসায়ী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। (হবিবুল্লাহ্ ১৯৭৪: ১৬৮-৬৯)
১৯৭১ সালের গণসংগ্রাম বাংলাদেশে নতুন জাতীয় রাষ্ট্রের সূচনা ঘটাইয়াছে। কিন্তু পরস্পরবিরোধী সেই পুরানা ঝোঁকের অবসান হইয়াছে—এ কথা আজও বলা যাইতেছে না। এই ছোট্ট বহিটি পড়িবার সময় কথাগুলি মনে রাখিলে কিছু উপকার পাইলেও পাওয়া যাইতে পারে।
ইংরেজি ২০১০ সালে আমার স্বাক্ষরে ‘আহমদ ছফা সঞ্জীবনী’ নামে একটি নাতিবৃহৎ প্রবন্ধ সংকলন বাহির হইয়াছিল। এক্ষণে—প্রায় দশ বছরের মাথায়—আমাদের কালের আর কয়েকজন সাধক ও লেখকের স্মৃতি কিম্বা সাধনা বিষয়ে লেখা কিছু প্রবন্ধ একত্র করিতে সমর্থ হইলাম। ‘জাতীয় সাহিত্য’ গ্রন্থমালার এই দ্বিতীয় খণ্ডের নাম রাখিয়াছি ‘প্রার্থনা’। এই লেখাগুলিকে সমালোচনা শব্দটির যথাযথ অর্থে হয়ত সমালোচনা বলা যাইবে না। জার্মান ভাষার পণ্ডিতরা যে ধরনের লেখাকে ‘ফেস্টশ্রিফট’ (festschrift) বা ‘উৎসব লেখমালা’ পদে ধরিয়া রাখিয়াছেন আমার এইসব লেখার অনেকগুলি সেই ধরনের।
একদিন শিখিয়াছিলাম এই পৃথিবীতে ‘প্রথম দৃষ্টিতে প্রেম’ বলিয়া কিছু নাই। প্রেমের শুরু মাত্র দৃষ্টির আড়াল হইতেই। এই না থাকা প্রেমের সন্ধান আমাকে প্রথম দিয়াছিলেন আমার মরহুমা নানিজান জরিমন খাতুন। তাঁহার জন্মের তারিখ আমার স্মৃতিতে নাই। তিনি এন্তেকাল করিয়াছিলেন ১৩৮৯ সালের ৩০ আশ্বিন তারিখে। দুর্ভাগ্যের মধ্যে—দূরদেশে থাকার কারণে—তাঁহার জানাজায় আমি শরিক হইতে পারি নাই। অদূর ভবিষ্যতে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে যে দ্বীপটি বিলুপ্ত হইতে চলিয়াছে সেই মহেশখালী দ্বীপের অন্তঃপাতী কালারমার ছড়া অঞ্চলের আঁধারঘোনা গ্রামে তাঁহার কবর। এই গ্রামেই আমার শৈশবের একমাত্র আনন্দের দিনগুলি কাটিয়াছিল।
আমার ‘প্রার্থনা’ পুস্তকের উদ্দেশ্য-পাতায় নানিজানের পবিত্র নামটি উৎকীর্ণ করিয়া রাখিলাম। আমেন।
সলিমুল্লাহ খান
২১ মাঘ ১৪২৫
দোহাই
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘গ্রন্থপরিচয়,’ রবীন্দ্র-রচনাবলী, ৯ম খণ্ড, সুলভ সংস্করণ, পুনর্মুদ্রণ (কলকাতা: বিশ্বভারতী, ১৪২২/ক), পৃ. ৬৬৩-৭৩২।
২. _____ ‘জীবনস্মৃতি,’ রবীন্দ্র-রচনাবলী, ৯ম খণ্ড, সুলভ সংস্করণ, পুনর্মুদ্রণ (কলকাতা: বিশ্বভারতী, ১৪২২/খ), পৃ. ৪০৯-৫১৪।
৩. _____ ‘প্রাচীন সাহিত্য,’ রবীন্দ্র-রচনাবলী, ৩য় খণ্ড, সুলভ সংস্করণ, পুনর্মুদ্রণ (কলকাতা: বিশ্বভারতী, ১৪২২/গ), পৃ. ৭০৯-৪৫।
৪. আবু মহামেদ হবিবুল্লাহ্, ‘বাঙালী মুসলমানের সাংস্কৃতিক আত্মনিয়ন্ত্রণ,’ সমাজ, সংস্কৃতি ও ইতিহাস (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৭৪), পৃ. ১৬৬-১৭৮।
৫. Charles Baudelaire, ‘A une passante,’ Oeuvres complètes, tome I, texte établi, présenté et annoté par Claude Pichois (Paris: Gallimard, 1975), pp. 92-93.
৬. Walter Benjamin, The Writer of Modern Life: Essays on Charles Baudelaire, ed. Michael W. Jennings, trans. Howard Eiland et al. (Cambridge, Mass.: Harvard University Press, 2006).
৭. Kalidasa, The Recognition of Sakuntala, trans. W. J. Johnson, reprint (Oxford: Oxford University Press, 2008).
৮. Simona Sawhney, The Modernity of Sanskrit (Minneapolis, MN: University of Minnesota Press, 2009).