শিল্পকলায় ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাট্য প্রদর্শনী
পুতুল মানুষের চিরকালীন সঙ্গী। এমন জাতি-গোষ্ঠী, ধর্ম-বর্ণের মানুষ পাওয়া দুষ্কর, যাঁরা শিশুর হাতে পুতুল তুলে দেন না। মানবসভ্যতার সমান বয়সী এই পুতুল, সুতা কিংবা কাঠির সাহায্যে নাড়িয়ে বিনোদন ও লোকশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। সেই পুতুলনাট্যের ইতিহাস-ঐতিহ্যও হাজার বছরের পুরোনো।
ইতিহাস ও প্রামাণ্য দ্বারা স্বীকৃত যে ভারতবর্ষ পুতুলনাট্যের আদিভূমি। বাংলাদেশেও পুতুলনাট্যের ঐতিহ্য হাজার বছরের—এ কথা এরই মধ্যে প্রমাণিত বিভিন্ন গবেষণা ও প্রকাশনার মাধ্যমে।
ঐতিহ্যবাহী ধারার পুতুলনাট্যকে টিকিয়ে রাখা এবং একে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এরই অংশ হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে পুতুলনাট্য প্রদর্শনী।
রাজধানীতে অবস্থিত একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটারে পুতুলনাট্য প্রদর্শনীতে অংশ নেবে বাংলাদেশের পুতুলনাট্য গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ।
পুতুলনাট্য প্রদর্শনীতে মঞ্চায়িত হবে মুনীর চৌধুরী রচিত ‘কুপোকাত’, জসীম উদ্দীন ও উপেন্দ্রকিশোর রায় রচিত ‘টুনটুনি ও নাককাটা রাজা’।
শিক্ষিত, সৃজনশীল, স্বপ্নচারী উদ্যমী ও থিয়েটারপ্রেমী তরুণদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সম্ভব এ শিল্পের গূঢ় শক্তিকে আবিষ্কার করা। এর সম্ভাবনাকে নানা ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর জন্য নাটক বিষয়ে অধ্যয়নকারী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে বর্তমান প্রযোজনা দল। ১৮-২০ জনের এই দল দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস তাদের একাডেমিক কাজের পাশাপাশি দিন-রাত শ্রম ও মেধা খাটিয়ে নির্মাণ করেছে বর্তমান প্রযোজনা।