রবিরশ্মির রজতজয়ন্তীতে শিল্পকলায় অনুষ্ঠান
২৫ ছাড়িয়ে ২৬-এ পা দিল সংগীত সংগঠন ‘রবিরশ্মি’। এ উপলক্ষে ‘কী হেরিলাম হৃদয় মেলে’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারা। গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে সমাপ্ত হয় এই আয়োজন।
রবিরশ্মির প্রধান উপদেষ্টা রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী অধ্যাপিকা সোহেলা হোসেন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। সেখানে দুই সংগীতশিল্পী ও সংগঠককে সম্মাননা জানানো হয়। এর মধ্যে একজন ত্রিপুরার রীতা চক্রবর্তী, অপরজন সিলেটের রানা কুমার সিনহা।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিন সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন রবিরশ্মির শিল্পীরা। একক গান পরিবেশন করেন রীতা চক্রবর্তী, রানা কুমার সিনহা, মিথিলা ঘোষ, সঞ্জীব সরকার, খান মো. রেজাউল কবির, পার্মিনা তোড়া দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিষ্ণুপদ দাস, অর্চনা রায়, বনশ্রী পাল, মনামী চক্রবর্তী। এ ছাড়া একক গান পরিবেশনায় ছিলেন অতিথি প্রণব সিকদার (চট্টগ্রাম), লিংকন বড়ুয়া (চট্টগ্রাম)।
শাহাদাৎ হোসেন নিপু ও শাশ্বতী মাথিনের উপস্থাপনায় দ্বিতীয় দিন সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাবেক সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। সম্মিলিত সংগীত পরিবেশন করেন রবিরশ্মি ও আগরতলার শিল্পীরা। এদের মধ্যে ছিলেন রেখা ভট্টাচার্য, গীতালী অম্বুলী, ড. অপর্ণা গাঙ্গুলী, মনীষা ঘোষ ও শিপ্রা সাহা। এ দিন একক গান পরিবেশন করেন রবিরশ্মির শিল্পী শাশ্বতী মাথিন, সুকুমার চক্রবর্তী, মনীষা চক্রবর্তী, সৌরভ গাঙ্গুলী, ভারতী চাকী, অরুণা সরকার, জাহানজীব সারোয়ার শিমুল, তপতী রায়, হাসানুল সাওদাত পিয়াস, সুস্মিতা হোসেন, শেলী চন্দ, লিলিয়েন পাল নীলা, অনামিকা ত্রিপুরা, দিলীপ কুমার দাস, শাহনাজ পাপড়ি, স্বপন কুমার চক্রবর্তী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিক শিল্পী ওয়ালিদ হাসান।
এস এইচ লিমন ও সাইফুর রহমান জুয়েলের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করেন বুলবুল ললিতকলা একাডেমির মীরপুর শাখা।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিকল্পনা ও পরিচালনায়ও ছিলেন রবিরশ্মির পরিচালক মহাদেব ঘোষ।