কবি অরবিন্দ চক্রবর্তীর ‘কবিতাসংগ্রহ’র পাঠ-পর্যালোচনা
কবি অরবিন্দ চক্রবর্তী। তার লেখা বই ‘কবিতাসংগ্রহ’ নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো পাঠ-পর্যালোচনা। গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৪টায় মিরপুরের একটি হলরুমে এ পাঠ-পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক, জীবনানন্দ দাশ গবেষক এবং অর্থনীতিবিদ ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান।
মনীষা হকের সঞ্চালনায় ‘কবিতা সংগ্রহ’র ওপর আলোচনা করেন কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রসাধক শোয়েব শাহরিয়ার, কবি ও অনুবাদক গৌরাঙ্গ মোহান্ত, প্রাবন্ধিক ও গবেষক কুদরত-ই-হুদা, কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান এবং কবি ও প্রাবন্ধিক ফারহান ইশরাক।
বইটি ২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল প্রকাশনা সংস্থা নৈঋতা ক্যাফে।
কবির প্রকাশিত ১১টি কাব্যগ্রন্থ একত্রে ‘কবিতাসংগ্রহ’ নামে প্রকাশিত হয়। বইটির প্রচ্ছদ করেন শিল্পী শতাব্দী জাহিদ। ৬০০ পৃষ্ঠার বইটির মুদ্রিত মূল্য রাখা হয় ৭০০ টাকা।
মাদুলি’ সম্পাদক কবি অরবিন্দ চক্রবর্তী ভারত বিচিত্রারও সম্পাদক। তিনি ১৯৮৬ সালের ১১ আগস্ট ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার রায়পাড়া সদরদী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা অমল চক্রবর্তী ও মা শ্যামলী রানী চক্রবর্তীর তিন সন্তানের মধ্যে অরবিন্দ চক্রবর্তী প্রথম। ছাত্রজীবন থেকেই ভালোবাসেন কবিতা।
অরবিন্দ চক্রবর্তীর লেখা নিয়ে প্রকাশিত কবিতার বইয়ের মধ্যে আছে—‘ছায়া কর্মশালা’ (২০১৩), ‘সারামুখে ব্যান্ডেজ’ (২০১৬), ‘নাচুকের মশলা’ (২০১৮), ‘রাত্রির রঙ বিবাহ’ (২০১৯), ‘অতিচল্লিশ ইন্দ্রীয়দোষ’ (২০২০) ও ‘ছিটমহল চিহ্নিত’ (২০২০) এবং সম্পাদনা গ্রন্থ দ্বিতীয় দশকের কবিতা (২০১৬), অখণ্ড বাংলার দ্বিতীয় দশকের কবিতা (২০১৭), একজন উজ্জল মাছ বিনয় মজুমদার (২০১৯), বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০২০) প্রভৃতি। নিয়মিত সম্পাদনা করে যাচ্ছেন বাংলা ভাষার পত্রিকা ‘মাদুলি’।