২০ বছরে বইয়ের সাম্রাজ্য বাতিঘর
বাতিঘর ঢাকার ২০ বছরে পদার্পণে ছিল জমজমাট আয়োজন। আজ শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৫টায় ঢাকা বাতিঘরে আয়োজন করা হয় মুক্ত আলাপ ও গান। শুভানুধ্যায়ী ও লেখকদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পুরো আয়োজন।
বাংলাদেশের চারটি বিভাগীয় শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী এবং ঢাকার শাহবাগ ও বাংলাবাজারে পাঠক-ক্রেতাদের জন্য বাতিঘর তৈরি করেছে পুস্তকবিপণি। গত ১৭ জুন ২০ বছরে পদার্পণ করেছে বাতিঘর। এ উপলক্ষে আজ মুক্ত আলাপ ও গানের অনুষ্ঠানে ছিলেন দেশের প্রথিতযশা কবি, লেখক-সাহিত্যিকেরা। ছিলেন গল্প, কবিতা, উপন্যাস, অনুবাদ-সাহিত্যের সব শাখার নবীন-তরুণেরাও। শুভেচ্ছা আশীর্বাদ জানাতে এসেছিলেন সাহিত্যের অন্যতম প্রাণ প্রকাশকরা। সব মিলিয়ে সাহিত্যের মিলনোৎসবে পরিণত হয়েছিল চেইন বুক শপ বাতিঘর।
অনুষ্ঠানে দেখা মেলে শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, লেখক-গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, কবি ও প্রাবন্ধিক এজাজ ইউসুফী, ছড়াকার আনজীর লিটন, মোহিত কামালের। আরও ছিলেন সময় প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ, অনুপম প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মিলন কান্তি নাথও নানা কথা জানান এই মিলনমেলায়।
আয়োজনের মধ্যমণি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, শহরে শহরে লাইব্রেরিগুলো এখন আর তেমন চলছে না। কারণ পাঠক হেঁটে গিয়ে বই পড়তে চায় না। আমরা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে যখন বই পড়া কর্মসূচি শুরু করেছিলাম, তখন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম মানুষের হাতে বই ধরাব। ইতোমধ্যে দুই কোটি পাঠকের হাতে বই ধরিয়েছি। কিন্তু এর পেছনেও অনেক লোক লেগে গেছে।
প্রকাশকদের উদ্দেশে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, যারা বইয়ের দোকান করে, তাদের প্রকাশক হওয়ার দরকার নেই। আবার যারা প্রকাশক, তাদের বইয়ের দোকান করার দরকার নেই। চেইন বুক শপকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলেই তারা যেন প্রকাশনায় যুক্ত হয়।