অন্যদের লাঠি দেখেন, আ.লীগের লাঠি দেখেন না : দুদু
দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে পুলিশের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আপনারা শুধু বিরোধী দলের লাঠি দেখেন, অন্যদের লাঠি দেখেন না? আওয়ামী লীগ লাঠি বহন করে সেটা দেখেন না?
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শীর্ষক গোলটেবিল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের আগে যারা গণতন্ত্র, নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে তাদেরকে ভারতের চোর বলা হতো। আর এখন গণতন্ত্র ও বেঁচে থাকার অধিকার চাওয়া হচ্ছে, ভোটার অধিকার চাওয়া হচ্ছে। তখন আমাদেরকে আগুনসন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এখন বলা হচ্ছে লাঠি নিয়ে বের হওয়া যাবে না। কিন্তু লাঠির আগায় তো বাংলাদেশের পতাকা আছে। বাংলাদেশের পতাকা তো গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতীক। আপনারা কি পতাকা বহন করতে দেবেন না। লাঠির দিকে আপনাদের নজর কেন? পতাকার দিকে নজর নাই কেন?
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা শুধু বিরোধী দলের লাঠি দেখেন অন্যদের লাঠি দেখেন না? আওয়ামী লীগ লাঠি বহন করে সেটা দেখেন না? দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ভারতের কাছে আমাদেরকে একেবারে নতজানু করে ফেলেছে বর্তমান সরকার। এত নিচে নামিয়ে ফেলেছে যে পা চাটার মতো অবস্থা। কিন্তু আমরা তো পা চাটার জাতি না। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বাঙালিরা প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে। দ্বিতীয় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কিন্তু বাঙালি জাতিকে হাস্যকর পাত্রে পরিণত করেছে বর্তমান সরকার। ভারত আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র। তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। কিন্তু অধিকার হারা মানুষের মতো থাকতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার আমাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, কর্মহারা করেছে। সবকিছুতে লুটপাট করে ধ্বংস করে ফেলেছে দেশটাকে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এছাড়া আর কোনো পথ নেই। জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়েই আমরা আবার গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, ভোটার অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারব।
এসময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সহ-সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।