অসহায় মানুষের পাশে সাংসদ শবনম জাহান শীলা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে এরই মধ্যে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। মহামারি ঠেকাতে মানুষ মেনেও নিয়েছেন এই কড়াকড়ি। কিন্তু তাতে বিপদে পড়েছে ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ মানুষ। কাজ নেই, তাই টাকাও নেই। কিন্তু পেটের ক্ষুধা তো শুনবে না সে কথা।
এমন বাস্তবতায় ঢাকার অসহায় মানুষকে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের (ঢাকা-৩) সংসদ সদস্য শবনম জাহান শীলা। নিজ এলাকা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী।
হঠাৎ কর্মহীন এসব দরিদ্র মানুষের মধ্যে চাল, ডাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, তেলের মতো ভোগ্যপণ্যগুলো প্যাকেট করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান শবনম জাহান।
সংসদ সদস্য বলেন, ‘এতে করে একটি পরিবার অন্তত এক সপ্তাহ খেতে পারবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমি এই সহায়তা চালিয়ে যাব।’
ঢাকা উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শীলা আরো বলেন, ‘করোনা যাতে সংক্রমিত হতে না পারে, সে জন্য মানুষকে ঘরে থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ঘরে যদি খাবার না থাকে, তাহলে তারা ঘরে কীভাবে থাকবে? খাবার জোগাড় করতে তাঁকে বের হতেই হবে। আর সেটা ডেকে আনতে পারে বিপদ। তাই তাদের খাবার নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত একশ পরিবারকে সহায়তা দিয়েছেন জানিয়ে শবনম জাহান শীলা বলেন, ‘এই বিপদে সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা উচিত। তবে এই সহায়তা করার সময় যাতে মানুষে মানুষে দূরত্ব থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সবাইকে।’
ব্যক্তিগত ছাড়া সরকারি তহবিল থেকেও দুস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে তাঁর নির্বাচনী এলাকা গুলশানে।
গতকাল রোববার ভাসানটেক স্কুল অ্যান্ড কলেজে কমপক্ষে ৫০০ পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন সংরক্ষিত আসনের এই সংসদ সদস্য।
ঢাকায় লকডাউন পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে নিয়ে সবারই উদ্বেগ বাড়ছে। সামনের দিনে পরিস্থিতির অবনতি হলে এই মানুষগুলো যাতে বিপদে না পড়ে এবং ভাইরাসের বাহক হয়ে না যায়, সেদিকে সবারই নজর রাখা উচিত বলে মনে করেন শবনম জাহান শীলা।