অস্ত্রের পর মাদকের মামলায়ও জামিন জি কে শামীমের
অস্ত্র আইনের মামলার পরে মাদকের মামলায়ও আলোচিত ঠিকাদার যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জি কে শামীমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ শনিবার জি কে শামীমের আইনজীবী শওকত ওসমান বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী বলেন, মাদকের মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর দ্বৈত বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন। এই মামলাটি ওই দিনের কার্যতালিকার ৩১৩ নম্বরে শুনানির জন্য ছিলো। শুনানি শেষে বিচারপতি ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র মামলায় জি কে শামীমকে হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, জি কে শামীমকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন। এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি এই আদেশটি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার জামিনের আদেশ আসে।
এরপর আদালতে জি কে শামীমের আইনজীবীরা মুক্তিনামা দাখিলের অনুমতি চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম মুক্তিনামা দাখিলের অনুমতি মঞ্জুর করেন। এরপর আইনজীবী মুক্তিনামা দাখিল করলে কারাগারে সেই মুক্তিনামা পাঠানো হয়েছে।
সালাউদ্দিন আরোও বলেন, জি কে শামীমের বিরুদ্ধে দুদকের দুটি মামলা থাকাতে এখনি তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানের নিকেতন থেকে জি কে শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই অভিযানে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
পরের দিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রাপাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়।