অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি-সেমাই তৈরি ও বিক্রির দায়ে ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাজার এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি ও সেমাই তৈরি এবং বিক্রি করার অপরাধে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। জরিমানা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ফাতিহা ফুড প্রোডাক্ট, ধানসিঁড়ি মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, নিউ মমতাজ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, মমতাজ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও ওল্ড মমতাজ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, সকালে স্কোয়াড কমান্ডার মো. মাসুদ রানা ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পত্নীতলা কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আফরোজের নেতৃত্বে নজিপুর বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি ও সেমাই উৎপাদন এবং বিপণন করার অপরাধে ফাতিহা ফুড প্রোডাক্টের মালিক এম এস দোলনকে ১২ হাজার, ধানসিঁড়ি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক আলমগীর হোসেনকে ১০ হাজার , নিউ মমতাজ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক রফিকুল ইসলামকে ১০ হাজার, মমতাজ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক উজ্জ্বল হোসেনকে ১০ হাজার এবং ওল্ড মমতাজ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারেরের মালিক সিদ্দিকুর রহমানকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি ও সেমাই উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছেন—জনসম্মুখে এটা স্বীকার করেছেন বলেও র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
র্যাব আরও জানায়, অভিযানে ১০ হাজার ৫২০ কেজি ভেজালযুক্ত ঝোলা গুড়, দুই হাজার ৩০০ কেজি কেমিক্যালযুক্ত রঙের সেমাই, সাত হাজার ১৫০ লিটার মিষ্টির ময়লাযুক্ত শিরা, দুই হাজার ৯৫০ লিটার দুর্গন্ধযুক্ত ছানা, চার হাজার ৫০ কেজি নষ্ট মিষ্টি, এক কেজি কেমিক্যাল রং এবং চার হাজার ২৫০ লিটার ব্যবহৃত পাম ওয়েল ধ্বংস করা হয়।