এবার মৌসুমে ২২ উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ করবে সরকার। 

আজ সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ধান সংগ্রহের ২২টি উপজেলার নামের অনুমোদন দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গত আমন মৌসুমে ১৬টি জেলার ১৬টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনা হয়। এবার বোরো মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ৬৪ জেলার একটি করে উপজেলায় ধান ও ১৬টি উপজেলায় মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।

কিন্তু বর্তমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে শুধু ২২ উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ২২ উপজেলার মধ্যে গত বছরের ১৬টি উপজেলাই রয়েছে। ‘ডিজিটাল খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা ও কৃষকের অ্যাপ’- এর মাধ্যমে এই ধান সংগ্রহ করা হবে।

উপজেলাগুলো হলো- ঢাকার সাভার, গাজীপুর সদর, নরসিংদী সদর, মানিকগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ সদর, রাজবাড়ী সদর, টাঙ্গাইল সদর, ময়মনসিংহ সদর, জামালপুর সদর, শেরপুর সদর, ভোলা সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর, রংপুর সদর, দিনাজপুর সদর, ঝিনাইদহ সদর, যশোর সদর, হবিগঞ্জ সদর, মৌলভীবাজার সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও বরিশাল সদর।

এদিকে গত ৭ এপ্রিল বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও দাম নির্ধারণ করে দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এবার বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন ধান ও সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল (আতপ ও সিদ্ধ) কেনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এর মধ্যে মিলারদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সেদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কেনা হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় যে চিঠিটি পাঠিয়েছে তাতে আরো বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় যদি যৌক্তিক প্রতীয়মান না হয় বা করোনাভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা যদি এতে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে জেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ নীতিমালা অনুসরণ করে প্রচলিত পদ্ধতিতে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।’

কৃষক তথ্য দিয়ে প্রথমে অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করবে। রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত হলে তিনি ধান বিক্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ডেটাবেজে জমা হবে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে উপজেলা কমিটি আবেদনকারীদের মধ্যে লটারি করবে। লটারির মাধ্যমে যেসব কৃষক নির্বাচিত হবে তাদের অনলাইনেই বরাদ্দ দিয়ে দেওয়া হবে। কৃষক এসব বিষয়ে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাবেন।

এ ছাড়া একটা ওয়েটিং লিস্টও তৈরি করা হবে। নির্বাচিত কোনো কৃষক যদি ধান দিতে না পারেন তবে ওয়েটিং লিস্ট থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেওয়া হবে।