আবুল মনসুর আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় ময়মনসিংহের মুসলিম ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভা হবে। আলোচনা সভার আয়োজন করেছে সঞ্জীবন যুব সংস্থার উদ্যাগ।
আবুল মনসুর আহমদ ১৮৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানাধীন ধানীখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালের ১৮ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্রূপাত্মক রচয়িতা আবুল মনসুর আহমদ ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত বাংলার কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘কৃষক’, ‘নবযুগ’ ও ‘ইত্তেহাদ’র সম্পাদক ছিলেন।
অত্যন্ত সফল রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের যুক্তফ্রন্ট সরকারে প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ১৯৫৭ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আওয়ামী লীগ সরকারে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী। পূর্ববাংলার স্বার্থের স্বপক্ষে শক্ত অবস্থান ও নানাবিধ উদ্যোগের জন্য, বিশেষ করে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
আবুল মনসুর আহমদের রচনা সম্ভারের মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত বিদ্রূপাত্মক রচনা ‘আয়না’, ‘আসমানী পর্দা’, ‘গালিভারের সফরনামা’ ও ‘ফুড কনফারেন্স’। আরও রয়েছে, বাংলার সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের ওপর বিখ্যাত রচনাবলী। তাঁর আত্মজীবনীমূলক দুটি গ্রন্থ হচ্ছে—‘আত্মকথা’ ও ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’।
আবুল মনসুর আহমদ চল্লিশ, পঞ্চাশ ও ষাট-এর দশকজুড়ে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার স্বপক্ষে প্রচারণা চালান। পাকিস্তানের প্রথম দিকে বিরোধী দলীয় আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ।
আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদ তাঁর লেখা দুটি বইয়ের রিভিউ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে বিজয়ী হয়েছেন ৫জন। 'আত্মকথা'য় শাখায় প্রথম হয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস, দ্বিতীয় মুনাজা মাহিন ও তৃতীয় হয়েছেন আমিনুল হক। 'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর' শাখায় প্রথম হয়েছেন ফাহিম আহমদে মণ্ডল ও দ্বিতীয় হয়েছেন পূজা পাল।