‘আম্ফান‘ মোকাবিলায় ১৯৩৩টি টিম কাজ করছে : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান‘ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতের এক হাজার ৯৩৩টি টিম কাজ করছে। এগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে এক হাজার ২১২টি, খুলনায় ৩০৩টি ও বরিশালে ৪১৮টি স্বাস্থ্য টিম রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত স্বাস্থ্য মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. হাবিবুর রহমান খান আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বলেছেন, টিমগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া ১৪ থেকে ২০ লাখ মানুষের ওষুধ সরবরাহসহ জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করবে।
ব্রিফিংকালে সেলের আহ্বায়ক বর্তমান সমসাময়িক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সর্বাধিক আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, তামাক ও তামাক সংক্রান্ত শিল্প সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা সংক্রান্ত কিছু প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ উপলক্ষে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কিছু নির্দেশনা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের কিছু নির্দেশনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছে।
প্লাজমা থেরাপি ও আমেরিকার ওষুধ রেমডিসিভির বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান আরো জানান, প্লাজমা থেরাপি বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই থেরাপি ৪৫ জনের দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। আর রেমডিসিভির ওষুধ দেশে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে বেক্সিমকো ফার্মার কিছু রেমডিসিভির ওষুধ জমা দেওয়া হবে।
বর্তমানে ঢাকায় ১৪টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড-১৯ হিসেবে ডেডিকেটেড করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে দুই হাজার শয্যার ডেডিকেটেড অস্থায়ী হাসপাতালটিও হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহর ও বাইরের সব মিলিয়ে বর্তমানে দেশে অন্তত ১১০টির মতো কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাততাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান সেলের আহ্বায়ক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দেশে টেস্টিং সুবিধা দিন দিন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। প্রথমে একটি ল্যাব থেকে বৃদ্ধি করে বর্তমানে ৪২টি ল্যাবে দৈনিক বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার পরীক্ষা হচ্ছে বলেও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জানান।
মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধানের সঞ্চালনায় ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য) ও মিডিয়া সেলের সদস্য রীনা পারভীন, যুগ্ম সচিব (জনস্বাস্থ্য) ও মিডিয়া সেলের সদস্য নিলুফার নাজনীন, এইচআর শাখার উপসচিব ও মিডিয়া সেলের সদস্য মো. ছরোয়ার হোসেন, সিস্টেম অ্যানালিস্ট ও মিডিয়া সেলের সদস্য আহমেদ লতিফুল হোসেন।