আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কমেছে
বাজারে সরবরাহ কিছুটা বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ, নতুন আলু ও ডিমের দাম কমেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আজ শুক্রবার গিয়ে নতুন দামের চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ানবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পুরোনো আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। তবে গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। এখন নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দামে। অপরদিকে, দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে, আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪৫ টাকা।
এদিকে, বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়, যা সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিম ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
কারওয়ানবাজারের বিক্রেতা শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে আলুর সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বাড়তি ছিল। এখন আবার নতুন আলুর সরবরাহ বেড়েছে, তাই দাম কমে গেছে।’ আলুর সরবরাহ এভাবে থাকলে দাম হাতের নাগালে চলে আসবে বলে জানান তিনি।
মনির হোসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। করোনার কারণে তাঁর প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বেতন হলেও তা কমানো হয়েছে। তাই তিনি কম দামে পাইকারি সবজি কিনতে কারওয়ানবাজারে এসেছেন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে। সামনে বাড়তে পারে। এ কারণে বেশি করে সবজি কিনে নিচ্ছি।’
যাত্রাবাড়ীতে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কবির হোসাইন বলেন, ‘বাজারে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে নতুন পেঁয়াজ আসছে। এ পেঁয়াজের মানও ভালো। নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। সামনে পেঁয়াজের দাম আরো কমবে।’
এদিকে বাজারে ডিমের সরবরাহ বেশি। ডিমের সরবরাহ বেশি হওয়ায় এখন দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এ ছাড়া বাজারে শীতকালীন সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ধরন ও মানভেদে ২৫ থেকে ৪০ টাকায়, প্রতিটি ফুলকপি আকারভেদে ১০-২০ টাকা আর বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকায়। মূলা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। বড় লাউ পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকার মধ্যে। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। বেগুনের কেজিও ২০ থেকে ৩০ টাকা আর করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।