আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে রিলিফের টিন আত্মসাতের অভিযোগ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/11/30/gopalganjganj-al-leader-tin.jpg)
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ফুকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শের আলী মোল্লার বসতঘরে সরকারি রিলিফের ঢেউটিন রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গ্রামের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ফুকরা গ্রামের হতদরিদ্রদের জন্য আদর্শ গ্রামে টিন দিয়ে ঘর তৈরি করা হয়। ঘর তৈরির পর ৩২টি ঢেউটিন বাড়তি হয়। আর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আত্মসাৎ করার জন্য টিনগুলো তার বাড়িতে নিয়ে রাখেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে ওই আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী হামিদা সুলতানাকে পাওয়া যায়। তাকে সরকারি টিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তাদের বাড়িতে টিন থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর সাংবাদিকদের তিনি ত্রাণের টিন দেখিয়ে দেন। টিনের গায়ে লেখা রয়েছে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ত্রাণ সামগ্রী, বিক্রয়ের জন্য নহে।’
ফুকরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শিকদার কাইউম হোসেন বলেন, ‘উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ফোন পেয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে শের আলী মোল্লার বাড়িতে আমি ছুটে যাই। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে টিনগুলো গণনা করে ৩২টি ঢেউটিন পাই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানাই।’
তবে কীভাবে এ ঢেউটিনগুলো ওই নেতার বাড়িতে এল তা তিনি জানাতেপারেননি।
ফুকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শের আলী মোল্লা বলেন, ‘আমার শ্যালক মিরাজ খান জাহাজে চাকরি করেন। তার জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই। তাকে আমি তদবির করে দুদফা রিলিফের টিন ও ১২ হাজার টাকা পাইয়ে দিয়েছি। তার রিলিফের টিন এনে আমার ঘরে রেখেছে। এ টিন আদর্শ গ্রামের প্রকল্প থেকে বেঁচে যাওয়া টিন নয়। এলাকায় আমার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসাতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা টিন আত্মসাতের অভিযোগ করেছে।’
কাশিয়ানী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘ওই আওয়ামী লীগ নেতার শ্যালককে ২০১৬-১৭ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে দুদফায় রিলিফের টিন ও নগদ ১২ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম অর্থবছরে মিরাজ খানের পক্ষে এক ব্যক্তি টিন ও টাকা উত্তোলন করেন। পরের অর্থবছরে মিরাজ খান স্বাক্ষর করে টিন ও টাকা তুলে নিয়ে যান। ওই আওয়ামী লীগ নেতার ঘরে রাখা টিনগুলো আমাদের বিতরণকৃত কিনা তা তদন্ত করে দেখতে হবে।’